Question:কোনো বস্তুর বিভব শক্তি কীসের উপর নির্ভর করে? 

কোনো বস্তুর বিভবশক্তি বস্তুটির ভর এবং উচ্চতার উপর নির্ভর করে। m ভরের বস্তুকে h উচ্চতায় উঠাতে বিভশক্তির পরিমাণ, Ep= mhg যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট স্থানে g এর মান ধ্রুবক, তাই কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বিভশক্তি বস্তুটির ভর ও উচ্চতার সমানুপাতিক। অর্থাৎ ভর ও উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে বিভবশক্তি বৃদ্ধি পায়।

Question:পেট্রোলিয়াম শব্দের অর্থ কী? 

পাথরের সঞ্চিত তেল।

Question:মৌলিক বল কী? 

যেসব বলে অন্য কোনো বল থেকে উৎপন্ন হয় না বা অন্য কোনো বলের কোনো রূপ নয় এবং অন্যান্য বল এসব বলের কোনো না কোনো রূপের প্রকাশ তাদেরকে মৌলিক বল বলে।

Question:মহাকর্ষ বল অস্পর্শ বল কেন, ব্যাখ্যা কর। 

দুটি বসতউর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই যে বল ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে।
মহাকর্ষ বল হলো বিশ্ব জগতের যেকোনো দুটি বস্তুর একে অপরের উপর আকর্ষণ বল। এ বল দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই ক্রিয়া করে, তাই মহাকর্ষ বল একটি অস্পর্শ বল।

Question:ঘর্ষণ বল কী? 

দুটি তল পরস্পরের সংস্পশর্ে থেকে গতিশীল হলে এদের প্রত্যেকের গতির বিপরীতে যে বাধা বলের উদ্ভব হয় তাকে ঘর্ষণ বল বলে।

Question:গতির ওপর ঘর্ষণের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। 

ঘর্ষণ হলো এক ধরনের বাধাদানকারী বল, যা বস্তুর গতিকে মন্থর করে।
ঘর্ষণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করলেও চলাচল ও যানবাহন চালনার জন্য ঘর্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনো বস্তুর গতির ওপর ঘর্ষণের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ঘর্ষণ পাবার জন্যই টায়ারের পৃষ্ঠ অমসৃণ এবং খাঁজ কাটা থাকে। একই উদ্দেশ্যে রাস্তার মসৃণতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গতি নিয়ন্ত্রণে যে ব্রেকিং বল প্রয়োগ করা হয় তাও এক প্রকার ঘর্ষণ বল।

Question:সুষম ত্বরণ কাকে বলে? 

কোনো বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সবসময় একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে সে ত্বরণকে সুষম ত্বরণ বলে।

Question:ঘর্ষণ এক প্রকার বল হওয়ায় প্রতি একটি লব্ধ রাশি। 

ঘর্ষণ বল = ভর x মন্দন = ভর x বেগের হ্রাস/সময়
= ভর x (সরণ/সময়)/সময়
= ভর x সরণ x সময়`^(-2)`
= ভর x দৈর্ঘ্য x সময়`^(-2)`

Question:শক্তি কী ধরনের রাশি? 

শক্তি স্কেলার রাশি।

Question:শক্তি ও কাজের পরিমাণ অভিন্ন ব্যাখ্যা কর। 

কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যই হচ্ছে শক্তি। কাজ করা মানে শক্তিকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত করা। এর অর্থ হচ্ছে বস্তুটি সর্বমোট যে পরিমাণ কাজ করতে পারে তাই হচ্ছে শক্তি। যেহেতু, কোনো বস্তুর শক্তির পরিমাপ করা হয় তার দ্বারা সম্পন্ন কাজের পরিমাণ থেকে, সুতরাং শক্তি ও কাজের পরিমাণ অভিন্ন।