Question:রোধের বিপরীত রাশি কী?
Answer
রোধের বিপরীত রাশি পরিবাহিতা।
Question:রোধের বিপরীত রাশি কী?
রোধের বিপরীত রাশি পরিবাহিতা।
Question:স্থির তড়িৎ হতে চল তড়িৎ কিভাবে সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা করো।
কোনো বস্তুতে মোট ধনাত্মক আধান এবং মোট ঋণাত্মক আধান সমান না হলে বস্তুটি তড়িৎ হয়েছে বলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে তড়িৎ চলাচলের কোনোরূপ সুযোগ না থাকলে, অর্থাৎ অন্তরক পদার্থের সংস্পর্শে থাকলে উক্ত তড়িৎ স্থির থাকে। কিন্তু যখনই এই তড়িৎ কোনো পরিবাহীর সংস্পর্শে আসে তখনই তা প্রবাহিত হয়ে বল তড়িত সৃষ্টি করে।
Question:তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে?
কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাকে তড়িৎপ্রবাহ বলে। কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের ম্যধ দিয়ে t সময়ে যদি Q পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয়, তাহলে তড়িৎ প্রবাহ I হবে I = Q/t।
Question:তড়িৎ প্রবাহের প্রচলিত দিক এবং ইলেকট্রন প্রবাহের দিক কোনটি?
তড়িৎপ্রবাহের প্রচলিত দিক হলো উচ্চতর বিভব থেকে নিম্নতর বিভবের দিকে অথবা তড়িৎ কোষের ধনাত্মক পাত থেকে ঋণাত্মক পাতের দিকে। কিন্তু আমরা জানি যে, প্রকৃতপক্ষে তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টি হয় ঋণাত্মক আধান তথা ইলেকট্রন প্রবাহের জন্য। ফলে তড়িৎ প্রবাহের প্রকৃত দিক তথা ইলেকট্রন প্রবাহের দিক হলো নিম্বতর বিভব থেকে উচ্চতর বিভবের দিক অর্থাৎ তড়িৎ কোষের ঋণাত্মক পাত থেকে ধনাত্মক পাতের দিকে।
Question:পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধ পরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?
পরিবাহী: যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তড়িৎপ্রবাহ চলতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন- তামা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি। অপরিবাহী: যে সকল পদার্থের মধ্য দিযে তড়িৎপ্রবাহ চলতে পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ বলে। যেমন- প্লাস্টিক, রাবার, কাঠ, কাচ ইত্যাদি। অর্ধপরিবাহী: যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি সে সকল পদার্থকে অর্ধপরিবাহী বলে। যেমন জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।
Question:ওহমের সূত্রটি বিবৃত কর।
ওহমের সূত্রটি হলো: “তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
Question:আপেক্ষিক রোধের সংজ্ঞা দাও।
কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট কোনো পরিবাহীর রোধকে ঐ তাপমাত্রায় এর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে।
Question:কী কী কারণে তড়িৎশক্তি ব্যবহার বিপদজনক হতে পারে?
তড়িৎ শক্তির ব্যবহার নিম্নবর্ণিত তিনটি কারণে বিপজ্জনক হতে পারে। ১. অন্তরকের ক্ষতি সাধন; ২. ক্যঅবলের অতি উত্তপ্ত হওয়া; ৩. আর্দ্র অবস্থা।
Question:একটি বাসের হেড লাইটের ফিলামেন্টের 2.5A তড়িৎ প্রবাহিত হয়। ফিলামেন্টের প্রান্তদ্বয়ের বিভব পার্থক্য 12v হলে এর রোধ কত?
এখানে, বাসের হেড লাইটের ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ, I = 2.5V ফিলামেন্টের প্রান্তদ্বয়ের বিভব পার্থক্য V = 12V ফিলামেন্টের রোধ R = ? ওহমের সূত্র হতে আমরা জানি, V = IR বা, R - V/I = 12V/2.5A = `4.8Omega` সুতরাং ফিলামেন্টের রোধ `4.8Omega`
Question:একটি শুষ্ক কোষের তড়িচ্চালক শক্তি 1.5V। 0.5C আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আনতে কোষের ব্যয়িত শক্তির পরিমাণ নির্ণয় কর।
প্রদত্ত কোষের তড়িচ্চালক শক্তি 1.5V। আমরা জানি, কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎশক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তড়িচ্চালক শক্তি বলে। সুতরাং IC আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে কোষের ব্যয়িত শক্তির পরিমাণ = 1.5J। `:. 0.5C` আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎশক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তড়িচ্চালক শক্তি বলে। সুতরাং IC আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আনতে কোষের ব্যয়িত শক্তির পরিমাণ = `1.5JC^(-1)xx0.5C=0.75J`।