পদার্থ বিজ্ঞান-নবম-দশম
  1. Question:পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো কেন জীবজগতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়? 

    Answer
    প্রতিটি জীবদেহ একাধিক ভৌত উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি। ফলে শুধু জড়জগত নয়, প্রাণিজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বস্তুত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো সার্বজনীন বলেই এগুলো জীবজগতের ক্ষেত্রেও প্রযোগ করা যায়।

    1. Report
  2. Question:পদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান বর্ণনা কর। 

    Answer
    গবেষণাগারে জগদীশচন্দ্র বসু কীভাবে দূরবর্তী স্থানে তারের সাাহয্য ছাড়া কোনো রেডিও সংকেতকে পাঠানো যায় এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা করেন এবং সফল হন। ১৮৯৫ সালে তিনি ইতিহাসে প্রথম বারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও সংকেত প্রেরণ করে জনসমক্ষে দেখান। মািইক্রোওয়েভ গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনিই প্রথম উৎপন্ন তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে মিলিমিটার পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন। তিনিই প্রথম রেডিও সংকেতকে সনাক্ত করার কাজে অর্ধপরিবাহি জংশনের ব্যবহার করেন। এই আবিষ্কার থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়ার পরিবর্তে তিনি তাঁর আবিষ্কারকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন, যেন অন্যরা এই গবেষণাকে আরো সমৃদ্ধ করার সুযোগ পায়।

    1. Report
  3. Question:জীবপদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান কী? 

    Answer
    জীবপদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর উল্লেখযোগ্য অবদান হলো, উদ্ভিদ কীভাবে উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেয়, এর পরিবহনের প্রকৃতি নিয়ে। আগে ধারণা করা হতো বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্ভিদের সাড়া দেওয়ার প্রকৃতি রাসায়নিক, কিন্তু তিনি দেখাতে সমর্থ হলেন যে এর প্রকৃতি বৈদ্যুতিক।

    1. Report
  4. Question:মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    যন্ত্রের মতো মানবদেহও অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ বা অঙ্গ নিয়ে গঠিত; যার একটির অভাবে বা বিকল হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ দেহের কর্মকান্ড বিঘ্নিত হয়। যন্ত্রের প্রত্যেকটি অংশ যেমনিভাবে বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে, তেমনিভঅবে মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ আলাদা আলাদা কাজে নিয়োজিত। মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একে অন্যের সাথে আন্তসম্পর্কিত। প্রত্যেকটি অঙ্গ নিজস্ব গতিতে চলে, কিন্তু সবগুলোর কাজই সুনির্দিষ্ট এবং এদের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে বলে ধরে নেওয়া হয়।

    1. Report
  5. Question:মিানবদেহ িএকটি জৈব যন্ত্র- এর সপক্ষে যুক্তি দাও। 

    Answer
    মানবদেহ একটি জৈবযন্ত্র স্বরূপ। যন্ত্র দ্বারা কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। বিভিন্ন ইঞ্জিনে আমরা পেট্রোল, ডিজেল, সিিএন.জি. ইত্যাদি জ্বালানি ব্যবহার করে রাসায়নিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করি। ঠিক তেমনিভাবে, খাদ্য গ্রহণ ও শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহও রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তি ও যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। সুতরাং মানবদেহ আসলে একটি জৈবিক যন্ত্র।

    1. Report
  6. Question:পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতি কীভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজে লাগে? 

    Answer
    চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতিগুলো হলো এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইসিজি, এন্ডোসকোপি, রেডিওথেরাপি, ইটিটি, এনজিওগ্রাফি, আইসোটোপের ব্যবহার প্রভৃতি। এ যন্ত্রপাতিগুলো কিভাবে চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজে লাগে নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
    ১. এক্সরের সাহায্যে স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড়, মুখমন্ডলের যেকোনো ধরনের রোগ, অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা, পিত্তথলি ও কিডনির পাথর, ফুসফুসে রোগ সনাক্ত করা যায়। এক্সরে ক্যান্সার কোষকে মারতে সক্ষম।
    ২. আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। এর সাহায্যে ভ্রুণের আকার, পূর্ণতা, ভ্রুণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়। প্রসূতিবিদ্যঅয় এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন- পিত্তপাথর, হৃদযন্ত্রের ত্রুটি এবং টিউমার শনাক্তকারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহর করা হয়।
    ৩. সিটিস্ক্যানের সাহায্যে শরীরের নরম টিস্যু, রক্তবারহী শিরা বা ফুসফুস এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত করার কাজে সিটিস্ক্যান ব্যবহৃত হয়। সিটিস্ক্যানের প্রতিবিম্ব চিকিৎসককে টিউমার সনাক্তকরণ, টিউমারের আকার, অবস্থান এবং টিউমারটি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যুকে কী পরিমাপণ আক্রান্ত করেছে তা নির্ধারণেও সাহায্য করে। মাথার সিটিস্ক্যানের সাহায্যে মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ধরনের রক্তপাত, ধমনীর ফুলা এবং টিউমারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। সিটিস্ক্যানের দ্বারা রক্তসঞ্চালনের সমস্যা আছে কীনা তাও জানা যায়।
    ৪. পায়ের গোড়ালি মচকানো এবং পিঠের ব্যাথ্যায় এমআরআই ব্যবহার করে জখমের বা আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করা হয়। ব্রেন এবং মেরুরজজুর বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরির জন্য এমআরআই হলো অত্যন্ত মূল্যবান পরীক্ষা।
    ৫. সাধারণত কোনো রোগের বাহ্যিক লক্ষণ যেমন- বুকের ধড় পড়ানি, অনিয়মিত ও দ্রুত হৃৎস্পন্দন, বুকে ব্যাথ্যা ইতঅদির কারণ নির্ণয় করার জন্য ইসিজি পরীক্ষা করতে হয়। এছাড়াও নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে যেমন- অপারেশনের পূর্বে ইসিজির সাহায্য নেওয়া হয়।
    ৬.

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd