Answerচিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতিগুলো হলো এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইসিজি, এন্ডোসকোপি, রেডিওথেরাপি, ইটিটি, এনজিওগ্রাফি, আইসোটোপের ব্যবহার প্রভৃতি। এ যন্ত্রপাতিগুলো কিভাবে চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজে লাগে নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
১. এক্সরের সাহায্যে স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড়, মুখমন্ডলের যেকোনো ধরনের রোগ, অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা, পিত্তথলি ও কিডনির পাথর, ফুসফুসে রোগ সনাক্ত করা যায়। এক্সরে ক্যান্সার কোষকে মারতে সক্ষম।
২. আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। এর সাহায্যে ভ্রুণের আকার, পূর্ণতা, ভ্রুণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়। প্রসূতিবিদ্যঅয় এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন- পিত্তপাথর, হৃদযন্ত্রের ত্রুটি এবং টিউমার শনাক্তকারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহর করা হয়।
৩. সিটিস্ক্যানের সাহায্যে শরীরের নরম টিস্যু, রক্তবারহী শিরা বা ফুসফুস এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত করার কাজে সিটিস্ক্যান ব্যবহৃত হয়। সিটিস্ক্যানের প্রতিবিম্ব চিকিৎসককে টিউমার সনাক্তকরণ, টিউমারের আকার, অবস্থান এবং টিউমারটি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যুকে কী পরিমাপণ আক্রান্ত করেছে তা নির্ধারণেও সাহায্য করে। মাথার সিটিস্ক্যানের সাহায্যে মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ধরনের রক্তপাত, ধমনীর ফুলা এবং টিউমারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। সিটিস্ক্যানের দ্বারা রক্তসঞ্চালনের সমস্যা আছে কীনা তাও জানা যায়।
৪. পায়ের গোড়ালি মচকানো এবং পিঠের ব্যাথ্যায় এমআরআই ব্যবহার করে জখমের বা আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করা হয়। ব্রেন এবং মেরুরজজুর বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরির জন্য এমআরআই হলো অত্যন্ত মূল্যবান পরীক্ষা।
৫. সাধারণত কোনো রোগের বাহ্যিক লক্ষণ যেমন- বুকের ধড় পড়ানি, অনিয়মিত ও দ্রুত হৃৎস্পন্দন, বুকে ব্যাথ্যা ইতঅদির কারণ নির্ণয় করার জন্য ইসিজি পরীক্ষা করতে হয়। এছাড়াও নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে যেমন- অপারেশনের পূর্বে ইসিজির সাহায্য নেওয়া হয়।
৬.