1. Question:১. ফজলুল হক সাহেবের মা মাটির চুলায় মাটির পাতিলে রান্না করেন। অপরদিকে তার স্ত্রী গ্যাসের চুলায় অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে রান্না করেন। ক. পদার্থ কী? খ. অধাতু বলতে কী বুঝায়? গ. ফজলুল হক সাহেবের স্ত্রীর ব্যবহৃত পাত্রটির উপাদানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ঘ. রান্নার কাজে ফজলুল হক সাহেবের মা ও স্ত্রীর মধ্যে কে বেশি সুবিধা পায় ‍বিশ্লেষন কর। 

    Answer
    ক. যা জায়গা দখল করে, যার ওজন আছে এবং বল প্রয়োগে বাধা প্রদান করে 
    
       তাকেই পদার্থ বলে।
    
       খ. অধাতু বলতে এমন পদার্থকে বোঝায় যা বিদ্যুৎ ও তাপ সুপরিবাহী নয় ওজনে 
    
        হালকা এবং অনুজ্জ্বল। অধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় না। এছাড়া এরা 
    
        ঘাতসহ ও নমনীয় নয়। যেমন- হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি।
    
      গ. ফজলুল হক সাহেবের স্ত্রীর ব্যবহৃত পাত্রটির উপাদান হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম। 
    
        নিচে এই উপাদানটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হলো। অ্যালুমিনিয়াম একটি ধাতু। 
    
        তাই ধাতুর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে বিদ্যমান। এসব বৈশিষ্ট্যের কারনে এটি 
    
        নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
    
        তাপ সুপরিবাহী হওয়ায় রান্নার কাজে আমরা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ব্যবহার করে থাকি, 
    
        কারণ এটি সহজে তাপ পরিবহন করে। ফলে ভাত, মাছ ইত্যাদি দ্রুত সিদ্ধ হয়। তাপ 
    
        পরিবহনের প্রয়োজন হয় এমন যন্ত্রপাতি যেমন রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র 
    
        ইত্যাদিতে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহৃত হয়। এটি বিদ্যুৎ পরিবাহী ও সস্তা হওয়ায় বৈদ্যুতিক 
    
        তার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রস্তুতিতে ব্যাবহৃত হয়। এর ঘনত্ব বেশি ও শক্ত হওয়ায় 
    
        গৃহস্থালির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কলকারখানায় ব্যাপাভাবে ব্যবহৃত হয়। চকচকে হওয়ায় 
    
        সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এটি বাসন-কোসন প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটি খুব হালকা 
    
        ও ভার বহনের ক্ষমতা থাকায় এর ধাতুর সংকরসমূহ বর্তমানে উড়োজাহাজ, রেলগাড়ি মটরগাড়ির 
    
        বিভিন্ন অংশ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
    
     ঘ. রান্নার ক্ষেত্রে ফজলুল হক সাহেবের মায়ের তুলনায় স্ত্রী বেশি সুবিধা পায়। উদ্দীপক হতে দেখা 
    
        যায়, ফজলুল হক সাহেবের স্ত্রী অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল ব্যবহার করেন। অ্যালুমিনিয়াম ধাতু 
    
        হওয়ায় তাপ সুপরিবাহী। আর তাই অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র চুলার আগুন থেকে তাপ পরিবহন 
    
        করে রান্নার  মূল ‍উপাদানে (যেমন- চাল বা মাছ) পৌছে দেয় এবং উপাদানগুলো ঐ তাপে 
    
        দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। ফলে রান্না তাড়াতাড়ি হয়। এছাড়াও তার স্ত্রী গ্যাসের চুলা ব্যবহারের 
    
        কারণে জ্বালানিও বেশি খরচ হয় না।
    
    
        অপরদিকে, ফজলুল হক সাহেবের মা মাটির পাতিলে রান্না করেন। মাটির পাতিলের মূল উপাদান 
    
        সিলিকা অধাতব পদার্থ হওয়ায় তাপ পরিবাহিতা  কম। ফলে পাতিলের মধ্য দিয়ে তাপ ধীরে 
    
        গতিতে চলাচল করে এবং সহজে পাতিলের জিনিস সিদ্ধ হয় না। তাই রান্না করতে দীর্ঘ সময়
    
         লাগে। তাছাড়া মাটির চুলায় তিনি জ্বালানি হিসেবে যে কাঠ খড়ি ব্যবহার করেন তার প্রায় ৮৫ 
    
        ভাগ নষ্ট হয়ে যায়।
    
       তাই বলা যায় যে, ফজলুল হক সাহেবের স্ত্রী তার মায়ের চেয়ে বেশি সুবিধা পায়।

    1. Report
  2. Question:২. ক. স্ফুটনাঙ্ক কী? খ. তাপ পরিবাহিতা বলতে কী বুঝায়? গ. চিত্রে X কীভাবে Z এ পরিণত হয়? ব্যাখ্যা কর। ঘ. তিনটি চিত্রের পদার্থই একই উপাদানে গঠিত ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ ফুটতে শুরু করে এবং বাষ্পে পরিণত হয় সেই 
    
         তাপমাত্রাকে ঐ তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে।
    
      খ. কোনো বস্তুর তাপ পরিবহন করার ক্ষমতাকে তাপ পরিবাহিতা বলে। যেমন- কাচের 
    
         চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম দ্রুত তাপ পরিবহন করে। তাই অ্যালুমিনিয়ামের তাপ পরিবাহিতা বেশি, 
    
         কাচের তাপ পরিবাহিতা কম।
    
      গ. চিত্রে X হল পানির কঠিন অবস্থা যা বরফ আর Z হলো গ্যাসীয় অবস্থা যা বাষ্প। বরফকে 
    
         বাষ্পে পরিণত করতে হলে প্রথমে একে গলনাঙ্ক তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করতে হবে। ফলে বরফ 
    
         গলে পানিতে পরিণত হবে। পরে এই পানিকে আরো তাপ প্রদান করে এর তাপমাত্রা `100^0C`
    
         তাপমাত্রায় পৌঁছাতে হবে। কারন পানির স্ফুটনাঙ্ক `100^0C` অর্থাৎ এই তাপমাত্রায় পানি বাষ্পে 
    
         পরিণত হয়। অত:পর `100^0C` তাপমাত্রায় তরল পানি বাষ্পে পরিণত হবে। এভাবে  X থেকে 
    
         আমরা Z পাব। অর্থাৎ অবস্থাগুলো তাাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
    
      ঘ. চিত্রের তিনটি পদার্থ X, Y, Z যথাক্রমে বরফ, পানি ও বাষ্প। এ তিনটি পদার্থ একই উপাদানে 
    
         গঠিত। এর অর্থ হলো এরা একই উপাদানের তিনটি ভিন্নরূপ মাত্র। আমরা জানি, পানি তিনটি
    
         অবস্থায় থাকতে পারে। যেমন- কঠিন অবস্থায় একে বরফ, তরল অবস্থায় একে পানি ও গ্যাসীয়
    
         অবস্থায় একে বাষ্প বলে। চিত্র থেকে দেখা যায় পদার্থটি যখন X বা বরফ এর গলনাঙ্ক তাপমাত্রায়
    
         পৌঁছায় তখন এটি তরলে বা পানি, Y-এ পরিণত হয়। পানিকে তাপ দেওয়ার সাথে সাথে এর 
    
         তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। অামরা জানি, পানির স্ফুটনাঙ্ক `100^0C` অর্থাৎ `100^0C` তাপমাত্রায় 
    
         পানি গ্যাসীয় অবস্থায় বা বাষ্পে পরিণত হয়। তাই Y বা পানির তাপমাত্রা `100^0C` এ পৌঁছালে 
    
         এটি পানি থেকে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ একই পদার্থ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে একই
    
         সাথে X থেকে Y, Y থেকে Z-এ রুপান্তরিত হয়। অর্থাৎ পদার্থটির একটি নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও 
    
         স্ফুটনাঙ্ক আছে। আমরা জানি, প্রত্যেক বিশুদ্ধ পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক আছে।
    
         যেহেতু চিত্রের পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক আছে তাই পদার্থটি একটি বিশুদ্ধ পদার্থ বা 
    
         একই উপাদানে গঠিত।

    1. Report
  3. Question:৩. জনাব আজাদ স্যার শিক্ষার্থীদের নমুনা ‘ক’-এর কিছু পদার্থ দেখিয়ে বললেন এদের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে। অত:পর তিনি নমুনা ‘খ’-এর এমন একটি পদার্থের কথা বললেন যার নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন কিছুই নেই, যা জীবের শ্বসনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ক. হাইড্রোজেন কোন ধরনের পদার্থ? খ. পানির তিনটি অবস্থা ব্যাখ্যা কর। গ. স্যারের দেখানো নমুনা ‘ক’ জাতীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর। ঘ. অবস্থাভেদে নমুনা ‘খ’-পদার্থটির সাথে পানির বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. হাইড্রোজেন গ্যাসীয় পদার্থ।
    
      খ. পানির তিনটি অবস্থা হলো বরফ, পানি আর বাষ্প। পানি যখন বরফ আকারে
    
         থাকে তখন এটিকে পানির কঠিন অবস্থা বলা হয়। পানি আকারে থাকলে তখন
    
         এটিকে বলা হয় তরল অবস্থা আর বাষ্প আকারে থাকলে তখন এটিকে গ্যাসীয় 
    
         অবস্থা বলে।
    
      গ. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে। সুতরাং, জনাব আজাদ 
    
         স্যার নমুনা ‘ক’-তে শিক্ষকের কঠিন পদার্থ দেখিয়েছিলেন। কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
    
         i. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে।
    
         ii. কঠিন পদার্থের আকার ও অায়তন সহজে পরিবর্তন করা যায় না।
    
         iii. এরা যথেষ্ট দৃঢ় অর্থাৎ এদের দৃঢ়তা অাছে।
    
      ঘ. নমুনা- ‘খ’ এর পদার্থটির নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই, অর্থাৎ পদার্থটি গ্যাসীয়। 
    
         আবার পদার্থটি জীবের শ্বসনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সুতরাং পদার্থটি অক্সিজেন। 
    
         নিচে অক্সিজেন ও পানির মধ্যে বৈসাদৃশ্য আলোচনা করা হলো:
    
          অক্সিজেন গ্যাসীয় পদার্থ যার নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই। একে যে পাত্রে রাখা 
    
         যাবে ঐ পাত্রের আয়তনই হবে অক্সিজেনের অায়তন।
    
         অন্যদিকে পানি হলো তরল পদার্থ যার নির্দিষ্ট আকার নেই কিন্তু নির্দিষ্ট আয়তন অাছে। 
    
         পাত্রভেদে আকার পরিবর্তন হলেও আয়তন একই থাকে।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd