1. Question:৮. গ্রামের দরিদ্র কৃষক ‍সিরাজ মিয়া গরমের সময় কাজের ফাকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তার জমির পাশের বটগাছের নিচের বিশ্রাম নেন। ক. সালোকসংশ্লেষণ কী? খ. কচি কান্ডের সালোকসংশ্লেষণ ঘটে ব্যাখ্যা কর। গ. সিরাজ মিয়ার গাছের নিচে বিশ্রাম নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে সমগ্র জীবজগত টিকে আছে - উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. যে প্রক্রিয়ায় সৃর্যের আলোয় সবুজ উদ্ভিদ তাদের নিজের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে 
    
        তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
    
     খ. সালোকসংশ্লেষণ ঘটে প্রধাণত উদ্ভিদের সবুচ অঙ্গ। উদ্ভিদের যে অঙ্গে ক্লোরোপ্লাস্ট 
    
        থাকে সে অঙ্গ সবুজ হয়, তাই অন্যভাবে বলা যায়, উদ্ভিদের কচি কান্ডে ও 
    
        ক্লোরোপ্লাস্ট এর উপস্থিতির জন্যই সালোকসংশ্লেষণ ঘটে।
    
     গ. সিরাজ মিয়ার গাছের নিচে বিশ্রাম নেওয়ার কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
    
         সিরাজ মিয়া গরমে কাজ করতে গিয়ে শ্রান্ত ও কান্ত । গরমে মানুষের শরীর থেকে 
    
         ঘামের লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়া। এই সময় দেহে প্রচুর শক্তি খরচ হয়। অপরদিকে 
    
         গাছের ছায়া শরীরকে সৃর্যের তাপের ক্ষতিকর ভায়োলেট (UV) রশ্নি থেকে বাচায়। গাচের নির্মল
    
         বাতাসে O2 থাকে যা মানুষের জীবনের জন্য অত্যাবশক। সিরাজ ‍মিয়া গাছের নিচে বসলে O2
    
         গ্রহণ করতে পারবে যার ফলে তার শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয়। গরমে কাজের ফলে শ্বসন হার 
    
         বাড়ার কারণে তার দেহে যে O2 এর প্রয়োজন বেড়ে যায় সেটি পূরণ হতে গাছ সাহায্য করবে।
    
         এসব কারণে সিরাজ মিয়া গাছের নিচে বিশ্রাম নিল।

    1. Report
  2. Question:9. জনাব আসাদ স্যার ৬ষ্ঠ শেণিতে প্রথমত ফানেল, বিকার, হাইড্রিলা উদ্ভিদ, পানি নিয়ে সমস্ত উপকরন সাজিয়ে সূর্যালোকে কিছুক্ষণ রাখার পর বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হওয়া দেখালেন। দ্বিতীয়ত, শ্রেণীতে নিচের সমীকরণটি লিখে ব্যাখ্যা করেন। কার্বন ডাই-অক্সাইড + পানি আলো/সূর্যালোক গ্লুকোজ + অক্সিজেন। ক. স্থলজ উদ্ভিদ মাটি থেকে কোন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে? খ. সালোকসংশ্লেষণের আলোক ও অন্ধকার পর্যায়ের মধ্যে পার্থক্য লেখ। গ. আসাদ স্যারের প্রথম পরীক্ষাটি চিত্র এঁকে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর। ঘ. প্রথম এবং দ্বিতীয় বার বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থের মধ্যে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন? বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক.  স্থলজ উদ্ভিদ মাটি থেকে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি শোষন করে।
    
    খ.  সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলোক পর্যায় ও অন্ধকার পর্যায়ের মধ্যে 
        
         পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো -
        
       আলোক পর্যায়                     অন্ধকার পর্যায়
       ------------                   ---------------
      i. প্রধান কাঁচামাল পানি।           i. কাঁচামাল হিসেবে কার্বন 
                                       
                                             ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়।
    
      ii. অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।          ii. গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।

    1. Report
  3. Question:১০. বিজ্ঞান শিক্ষক ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি দিয়ে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সাহায্যে শর্করা ও পানি তৈরির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করেন। শিক্ষক আরো বলেন যে, জীবাশ্ম জ্বালানি আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। ক. উদ্ভিদের পাতার কোন অংশ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়? খ. সালোকসংশ্লেষণ নির্গমন পরীক্ষায় দেয়াশলাই কাঠি ব্যবহার করা হয় কেন? গ. বিজ্ঞান শিক্ষকের বর্ণনা করা প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব লিখ। ঘ. উদ্দিপকের উল্লেখিত জ্বালানি রক্ষায় আমাদের কী কী করতে হবে?- বিশ্লেষন কর। 

    Answer
    ক.   উদ্ভিদের পাতার সবুজ প্লাস্টিড সালোকসংশ্লেষণে অংশ নেয়।
    
      খ.   যে পদ্ধতিতে সূর্যের আলোয় সবুজ উদ্ভিদেরা নিজের খাদ্য নিজেরা
    
            তৈরি করে তাকে সালোকসংশ্লেষন বলে। সালোকসংশ্লেষনি নির্গমন 
    
            পরীক্ষায় দেয়াশলাইয়ের কাঠি ব্যবহার করা হয় অক্সিজেন গ্যাসের উপস্থিতি 
    
            পরীক্ষার জন্যে।

    1. Report
  4. Question:১. চোখের বিভিন্ন অংশ ক. স্ক্লেরা কী? খ. চোখের G অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ঘটবে? গ. B অংশের কাজ ব্যাখ্যা কর। ঘ. J অংশ কীভাবে আমাদের দেখতে সাহায্য করে আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. অক্ষি গোলকের বাইরের সাদা, শক্ত ও পাতলা স্তরটি হলো স্ক্লেরা।
    
     খ. চোখের G চিহ্নিত অংশটি হলো কর্নিয়া। এ অংশটির ভেতর দিয়েই আলো 
    
        চোখের ভেতর প্রবেশ করে এবং কোনো বস্তুকে দেখতে সাহায্য করে। সুতরাং চোখের
    
        কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখে আলো প্রবেশ বাধাগ্রস্থ হবে এবং মানুষ কোনো বস্তুকে ঠিকভাবে 
    
        দেখতে পারে না।
    
     গ.  চিত্রে চোখের B চিহ্নিত অংশটি আইরিশ, যার অবস্থান কর্নিয়ার পেছনে। 
    
         এটি ঘন কালো গোলাকার একটি অস্বচ্ছ পর্দা। এর কেন্দ্রস্থলে একটি ছিদ্র থাকে যাকে 
    
         পিউপিল বলে। আইরিশের পেশিসমূহের সংকোচন প্রসারণে পিউলিপ ছোট বড় হতে পারে। 
    
         এর ফলে আলোকরশ্মি রেটিনায় প্রবেশ করে। অর্থাৎ আইরিশ চক্ষু লেন্সের উপর আপতিত 
    
         আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করে। এটি আইরিশের প্রধান কাজ।
    
     ঘ.  চিত্রের J চিহ্নিত অংশটি হলো পিউলিপ। এটি আইরিশের মধ্যখানে অবস্থিত একটি ছোট ছিদ্র। 
    
         কোনো বস্তুকে দেখতে চোখের এ অংশটি বিশেষভাবে সাহায্য করে। নিচে এ বিষয়টি 
    
         আলোচনা করা হল-
    
         আলোক রশ্মির তীব্রতা অনুযায়ী অরীয় ও বৃত্তাকার পেশির সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পিউলিপ
    
         প্রয়োজনমতো বড় ও ছোট হয়। ফলে কোনো দর্শনীয় বস্তু থেকে অাগত 
    
         আলোক রশ্মি J চিহ্নিত অংশ অর্থাৎ পিউলিপের ভেতর দিয়ে রেটিনায় পোঁছায়।
    
         রেটিনার উপর বস্তুটির একটি উল্টা প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে মস্তিষ্ক এ উল্টা 
    
         প্রতিবিম্বটিকে সোজা করে দেয়। ফলে মানুষ বস্তুটিকে সোজা দেখতে পায়। 
    
         এভাবে পিউপিল আমাদের দেখতে সাহায্য করে।

    1. Report
  5. Question:২. সংবেদি অঙ্গ ক. সংবেদি অঙ্গ কাকে বলে? খ. A চিহ্নিত অংশ না থাকলে কী ঘটবে ব্যাখ্যা কর। গ. E চিহ্নিত অংশের কাজ উল্লেখ কর। ঘ. C ও F চিহ্নিত অংশের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. যেসব অঙ্গের মাধ্যমে বাইরের সকল খবরা-খবর মস্তিষ্ক জানতে পারে 
    
         তাদের বলা হয় সংবেদি অঙ্গ।
    
     খ. চিত্রের A চিহ্নিত অংশটি হলো বহি:কর্ণের পিনা। এ অংশ না থাকলে 
    
         বাইরের শব্দ কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে না। ফলে শব্দ মধ্যকর্ণ ও অন্ত:কর্ণের 
    
         মধ্যদিয়ে শেষ পর্যন্ত মস্তিষ্কে কোনো অনুভূতিও সৃষ্টি করবে না। এর ফলে 
     
         আমরা কিছুই শুনতে পারব না।
    
     গ. চিত্রের E চিহ্নিত অংশটি হলো অন্ত:কর্ণ। অন্ত:কর্ণ ইউট্রিকুলাস এবং স্যাকুলাস 
    
        নামক দুটি প্রকোষ্ঠ বিভক্ত। নিচে এ দুটি প্রকোষ্ঠের কাজ উল্লেখ করা হলো-
    
        ইউট্রিকুলাস প্রকোষ্ঠের ভেতর সৃষ্টি উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌছানো। এছাড়া 
    
        এটি দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে মস্তিষ্ককে সাহায্য করে। আবার স্যাকুলাস হলো 
    
        শামুকের মতো প্যাঁচানো একটি নালিকা বিশেষ। এখানে শ্রবণ সংবেদি কোষ থাকে। 
    
        শব্দ  তরঙ্গ অন্ত:কর্ণে পোঁছালে ককলিয়ায় অবস্থিত শ্রবন সংবেদি কোষগুলো উত্তেজিত হয়। 
    
        এই উত্তেজনা স্নায়ুকোষগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছে যায়। ফলে আমরা শুনতে পাই।
    
     ঘ. C চিহ্নিত অংশের নাম কর্ণপটহ। কর্ণকুহর শেষ হয়েছে একটা পর্দায়,
    
        এই পর্দাটির নাম কর্ণপটহ। কর্ণপটহ বহি:কর্ণের শেষ অংশ। F চিহ্নিত অংশের নাম মধ্যকর্ণ।
    
        বহি:কর্ণ ও অন্ত:কর্ণের মাঝখানে এর অবস্থান। এটা একটা বায়ুথলি যার মধ্যে ম্যালিয়াস,
    
        ইনকাস ও স্টেপিস নামে তিনটা ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র হাড় বা অস্থি রয়েছে। অস্থিসমূহের মাধ্যমে শব্দ
    
        তরঙ্গ অন্ত:কর্ণে পৌঁছায়। কানের সাথে গলার সংযোগের জন্য একটি নল আছে।
    
        এ নলটির কাজ হলো কর্ণপটহের বাইরের ও ভেতরের বায়ুচাপ সমান রাখা।

    1. Report
  6. Question:৩. বিজ্ঞান ক্লাশে শিক্ষক ‘সংবেদি অঙ্গ’ অধ্যায়টি পড়াতে গিয়ে বোর্ডে ৩টি সংবেদি অঙ্গ অঙ্কন করে তাদেরকে A , B ও C দ্বারা চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রত্যেকটির ১টি করে প্রধান কাজ নিম্নলিখিতভাবে উল্লেখ করেছিলেন- A: স্বাদ গ্রহণে সাহায্য করে। B: দেখতে সাহায্য করে। C: ঘ্রান নিতে সাহায্য করে। ক. ত্বক কী? খ. জিহ্বার মাঝখান দিয়ে আমরা কোনো জিনিসের স্বাদ অনুভব করি না কেন? গ. A চিহ্নিত সংবেদি অঙ্গটির কাজ উল্লেখ কর। ঘ. C চিহ্নিত সংবেদি অঙ্গ কীভাবে তার প্রধান কাজটি সম্পন্ন করে- বিশ্লেষন কর। 

    Answer
    ক. ত্বক হচ্ছে প্রাণিদেহের সর্ববৃহৎ বহি:আবরণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ।
    
      খ. জিহ্বার সামনে, পেছনে, পাশে স্বাদ গ্রহণের জন্য বিশেষ স্বাদ কোরক থাকায় 
    
         এসব স্থান দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্বাদ অনুভব করে থাকি। কিন্তু জিহ্বার 
    
         মাঝখানে কোনো স্বাদ কোরক না থাকায় আমরা এ স্থান দিয়ে কোনো জিনিসের স্বাদ
    
         অনুভব করি না।
    
      গ. A চিহ্নিত সংবেদি অঙ্গটি হলো জিহ্বা। নিচে A তথা জিহ্বার কাজ উল্লেখ করা হলো-
    
         i.      খাদ্যের স্বাদ গ্রহন করা।
    
         ii.     খাবার গিলতে সাহায্য করা।
    
         iii.    খাদ্যবস্তুকে নেড়েচেড়ে দাঁতের নিকট পৌঁছে দেওয়া।
    
         iv.    খাদ্যবস্তুকে লালার সঙ্গে মিশাতে সাহায্য করা।
    
         v.     জিহ্বা আমাদের কথা বলতে সাহায্য করে।
    
      ঘ. C চিহ্নিত সংবেদি অঙ্গটি হলো নাক। কারন, শিক্ষক এর প্রধান কাজ হিসেবে ঘ্রাণ নেওয়াকে উল্লেখ করেছিলেন। 
    
          নাকের অগ্রভাগে দুটি ছিদ্র থাকে। ছিদ্র দুটি নাসাপথে গলবিল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এর পিছনের দিকটা পাতলা আবরণী 
    
          ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে। একে ঘ্রাণঝিল্লি বলে। এই ঘ্রাণঝিল্লিতে অসংখ্য ঘ্রাণ স্নায়ুকোষ থাকে। গন্ধযুক্ত কোনো বস্তু 
    
          হতে নির্গত বায়বীয় রাসায়নিক পদার্থ বায়ূর মাধ্যমে নাকের ছিদ্র দিয়ে নাসাপথে ঘ্রাণ ঝিল্লিতে প্রবেশ করে এবং
    
          ঘ্রাণ স্নায়ু কোষের সংস্পর্শে এসে একে উদ্দীপ্ত করে। এই উদ্দীপনা বহু ঘ্রাণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের ঘ্রাণকেন্দ্রে পৌছায়
    
          এবং তার নির্দেশনায় আমরা ঐ বস্তুর ঘ্রাণ অনুভূতি লাভ করি। এভাবেই C চিহ্নিত সংবেদি অঙ্গটি অর্থাৎ নাক তার প্রধান 
    
          কাজ-কোনো বস্তুর ঘ্রাণ নিতে সাহায্য করা কাজটি সম্পন্ন করে।

    1. Report
  7. Question:৪. ফরহাদ বেশ কিছুদিন ধরে কারও কথায় কোনো সাড়া দিচ্ছে না। চিন্তিত মা বাবা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখেন তার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে পানি জমে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন এবং অঙ্গটির প্রতি যত্নশীল হতে বলেন। ক. কোথায় রড এবং কোন নামক দুই ধরনের কোষ রয়েছে? খ. আমরা কীভাবে চোখের সাহায্যে আলোকিত বস্তুকে দেখতে পাই? গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গটির অন্ত:গঠন অঙ্কন করে চিহ্নিত কর। ঘ. আলোচিত ইন্দ্রিয়টির যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে তোমার পরামর্শ তুলে ধর। 

    Answer
    ক. রেটিনায় রড এবং কোন নামক দুই ধরনের কোষ রয়েছে।
    
      খ. আলোকিত বস্তু থেকে আলোকরশ্মি লেন্সের মাধ্যমে রেটিনায় ‍গিয়ে পড়ে। আপতিত রশ্মি প্রসারিত
    
         হয়ে রেটিনায় প্রতিফলিত হয়। ফলে রেটিনার উপর বস্তুটির ক্ষুদ্র ও উল্টো প্রতিবিম্বের সৃষ্টি হয়। 
    
         আলোক উদ্দীপনা অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রেরিত হলে অামরা বস্তুকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাই। 
    
         এভাবেই চোখের সাহায্যে আমরা আলোকিত কোনো বস্তুকে দেখতে পাই।
    
      গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গটি আমাদের একমাত্র শ্রবণেন্দ্রিয় কান। নিচে এর অন্ত:গঠন অঙ্কন করে চিহ্নিত করা হলো-
           
          কানের অন্ত:গঠন ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত শ্রবণ ইন্দ্রিয় হলো কান। কানের সমস্যার কারণে আমরা বধির হয়ে যেতে পারি। 
    
         এজন্য এ ইন্দ্রিয়ের ব্যাপারে আমাদের যত্নবান হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো--
    
          i. কান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কানে ময়লা জমলে কাঠি বা অন্যকোনো শক্ত বস্তু দিয়ে কান খোঁচানো যাবে না।
    
          ii. গোসলের সময় কানে যাতে পানি না ঢোকে সেদিকে সতর্ক
    
             থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে কানে তুলা দিয়ে গোসল করতে হবে।
    
          iii. কানে বাইরের কোন বস্তু বা পোকামাকড় ঢুকলে ডাক্তারের পরামর্শ
    
             নিতে হবে।
    
          iv. উচ্চ শব্দের গান বা মিউজিক শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন উচ্চ শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর।

    1. Report
  8. Question:৫. পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন স্বাদের খাবার পছন্দ করে। আর মানুষ খাবারের এ স্বাদ গ্রহন করে বিশেষ একটি অঙ্গের সাহায্যে। এই অঙ্গের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন স্বাদ অনুভব করতে পারে। ক. আইরিশ কাকে বলে? খ. ইউট্রিকুলাস বলতে কী বোঝায়? গ. উক্ত অঙ্গটির চিত্রসহ বিভিন্ন অংশের বর্ণনা কর। ঘ. উক্ত অঙ্গটির প্রতি কীভাবে তুমি যত্নশীল হবে? মতামত দাও। 

    Answer
    ক. চোখের কর্নিয়ার পেছনের কালো পর্দাকে আইরিশ বলে।
    
       খ. ইউট্রিকুলাস অন্ত:কর্ণের উপর দিকের গোল প্রকোষ্ঠ। এটি তিনটি অধিবৃত্তাকার নালি 
    
        দ্বারা গঠিত। এদের ভেতরে আছে খুব সূক্ষ্ম লোমের মতো স্নায়ু ও রস। নালির ভেতরের এ রস 
    
        যখন নড়ে বা আন্দোলিত হয়, তখনই স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হয়। আর তখনই সে উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
    
       গ. উদ্দীপকে আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয় অর্থাৎ জিহ্বা সম্পর্কে অলোচনা করা হয়েছে। নিচে জিহ্বার চিত্রসহ বিভিন্ন 
    
        অংশের বর্ণনা করা হলাে-
              
            জিহ্বার গঠন জিহ্বা দিয়ে আমরা খাদ্য বস্তুর টক, ঝাল, মিষ্টি, তিতা স্বাদ গ্রহন করে থাকি। এটা আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয়। 
    
        মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গটি হলো জিহ্বা। জিহ্বার উপরে একটি আস্তরণ আছে, এতে বিভিন্ন স্বাদ
    
        গ্রহনের জন্য স্বাদ কোরক থাকে। জিহ্বার সামনে, পেছনে, পাশে স্বাদ গ্রহণের জন্য বিশেষ স্বাদ কোরক থাকায় 
    
        অামরা জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে মিষ্টি ও নোনতা, পাশের অংশ দিয়ে লবণ ও টক স্বাদ অনুভব করে থাকি।
    
        জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদকোরক থাকে না। স্বাদকোরক না থাকায় আমরা জিহ্বার মাঝখানটায় কোনো 
    
        বিশেষ স্বাদ পাই না। এছাড়া জিহ্বার একেবারে পেছনের অংশে বড় আকারের কোরকগুলো  তিতা বা তিক্ত 
    
        স্বাদ অনুভব করতে সহায়তা করে।
    
       ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটি মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গ জিহ্বা। এটি আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয়।
    
         খাদ্য পরিপাকের জন্য উক্ত অঙ্গটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর যত্ন নিতে হলে যা করতে হবে তা হলো-
    
        i. দাঁত ব্রাশ করার সময় নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা।
    
        ii. শিশুদের নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা উচিত। তা না হলে জিহ্বায় ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
    
        iii. অনেক সময় রোগের কারণে জিহ্বার উপর সাদা বা হলদে পর্দা পড়ে। জ্বর হলে সাধারণত এটি হয়। 
    
        এই সময় পানিতে লবণ গুলে কুলকুচি করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
    
        iv. শিশুদের জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে জিহ্বার উপর দইয়ের মতো দেখতে ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। 
    
        এটি এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়।
    
        v. মুখ বা জিহ্বায় ঘা হলে অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
    
           এভাবে আমরা জিহ্বার প্রতি যত্নশীল হব।

    1. Report
  9. Question:৬. রাতুল তার স্ত্রীকে নিয়ে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেন। কারন তার স্ত্রীর শরীরে কিছু দাগ দেখা দিয়েছে। ডাক্তার তাকে পর্যবেক্ষণের পর প্রয়োজনীয় ঔষধ দিলেন। পাশাপাশি ত্বকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে এর যত্ন নিতে বললেন। ক. নাসারন্ধ্র কাকে বলে? খ. কানের যত্নে কী কী করতে হয়? গ. ডাক্তারের বর্ণিত অঙ্গটির সাধারণ কাজ বর্ণনা কর। ঘ. উক্ত রোগটি থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য রাতুলের স্ত্রী কী করা উচিত? তোমার মতামত বিশ্লেষন কর। 

    Answer
    ক. নাকের যে ছিদ্র দিয়ে বাতাস দেহের ভেতর ঢোকে তাকে নাসারন্ধ্র বলে।
    
        খ. কানের যত্ন নেওয়ার জন্য যা করতে হবে, তা হলো-
    
             i. নিয়মিত কান পরিষ্কার করা।
    
             ii. গোসলের সময় কানে যেন পানি না ঢোকে সেদিকে সতর্ক থাকা।
    
             iii. কানে বাইরের কোনো বস্তু বা পোকামাকড় ঢুকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
    
             iv. উচ্চ শব্দে গান না শোনা।
    
        গ. ডাক্তারের বর্ণিত অঙ্গটি ছিল ত্বক। নিচে ত্বকের সাধারন কাজ উল্লেখ করা হলো-
    
           i. ত্বক দেহের ভেতরের কোমল অংশকে বাইরের আঘাত, ঠান্ডা, গরম, রোদ ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
    
           ii. দেহে রোগজীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়।
    
           iii. ঘাম বের করে দিয়ে শরীরকে ঠান্ডা ও সুস্থ রাখে।
    
           iv. দেহের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়।
    
           v. সূর্য রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
    
           vi. দেহে তাপের সমতা রক্ষা করে।
    
           vii. সূর্য রশ্মি থেকে দেহকে রক্ষা করা
    
        ঘ. রাতুলের স্ত্রীর শরীরে যে দাগ দেখা দেয়েছিল সেগুলো ছিল ত্বকের চর্মরোগ। উক্ত রোগ থেকে পরিত্রান 
    
          পাবার জন্য তার যা করা প্রয়োজন -
    
          i. নিয়মিত গোসল করা ও পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত গোসল করলে ত্বক বা চামড়ার সংক্রামণ, খুশকি, 
    
              চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা এড়ানো যায়।
    
          ii. অন্যের ব্যবহার করা তোয়ালে ব্যবহার পরিত্যাগ করা। দুই একদিন পরপর নিজের ব্যবহৃত তোয়ালে বা গামছা 
    
              গরম পানি ও সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা।
    
          iii. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো মলম ব্যবহার না করা।
    
          iv. এছাড়া যৌন রোগের কারনে ত্বক সংক্রামিত হতে পারে। এজন্য স্বাস্থবিধি সম্মত নির্মল জীবন যাপন করা।
    
              উপরিউক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে তিনি উক্ত রোগ হতে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

    1. Report
  10. Question:৭. অক্ষিগোলক ক. একটি সংবেদি অঙ্গের নাম লেখ। খ. অক্ষিগোলক বলতে কী বোঝ? গ. চিত্রের ‘b’ অংশটির বর্ণনা দাও। ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটির যত্ন নেওয়ার উপায় বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. কান।
    
         খ. অক্ষিগোলক চোখের একটি বিশেষ অঙ্গ যা দেখতে গোলাকার বলের মতো। এতে তিনটি 
    
           স্তর রয়েছে।
    
    
       সুপার টিপস্: প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তরটি
    
        জানা থাকতে হবে-
    
          
         গ. চোখের লেন্সের বর্ণনা দাও।
    
         ঘ. চোখের যত্ন নেওয়ার উপায় বর্ণনা কর।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd