Home  • Online Tips • Health

মেরুদন্ডের শেষ হাড়ের ব্যথা

পরিচিতি

মেরুদন্ডের শেষ হাড়ের ব্যথা যে কত ভয়ংকর, অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রনাদায়ক তা ভূক্তভোগীমাত্রই জানেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি ‘ককসিডাইনিয়া’ নামে পরিচিত। ১৫৮৮ সালে এই সমস্যাটি প্রথম ধরা পড়লেও এটির নামকরণ করা হয় ১৮৫৯ সালে। এটি মূলত ককসিস জনিত সমস্যা। মেরুদন্ডের শেষের হাড় এবং চারটি সেগমেন্ট (কখনো কখনো ৩ টি) নিয়ে গঠিত হয় ককসিস। এর সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরনের পেশি, লিগামেন্ট ও টেনডন। লোকজন পেছনে ঝুঁকে বসলে ককসিসের ওপর বেশি চাপ পড়ে। তাই, ককসিডাইনিয়া জড়িত রোগীরা বসার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বসে।

কারণ

০১. আঘাত, বিশেষ করে পেছনের দিকে পড়ে গেলে। ০২. দীর্ঘদিন ধরে ককসিসে প্রদাহ। ০৩. নারীদের ক্ষেত্রে প্রসবের সময় আঘাত বা প্রলোং ডেলিভারি। ০৪. মিসএলাইনড, শক্ত বা লম্বা ককসিস। ০৫. পেশির সংকোচন, পাইলোনাইডাল সাইনাস, পাইলোনাইডাল সিস্ট, মেনিসকাল সিস্ট, রিপিটেটিভ স্ট্রেইন, যেমন- দীর্ঘক্ষণ মোটর বা বাইসাইকেল চালানো। ০৬. ইনফেকশন, ক্যালসিয়াম ডিপসিশন এবং টিউমার। ০৭. মেরুদন্ডে বা ককসিসে মেজর অপারেশন। ০৮. এক তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে কারণ অজ্ঞাত।

লক্ষণ

০১. বসার সময় বা বসার পর পর ব্যথা অনুভূত হয় এবং বেশি সময় ধরে বসে থাকলে ব্যাথা তীব্র হয়। ০২. শক্ত জায়গায় বসলে ব্যথা অনুভূত হয় এবং তীব্র হয়। ০৩. বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে গেলে ব্যথা হয়। ০৪. কখনো আবার নরম আসনে বসলেও ব্যথা হয়। ০৫. ককসিন ও ককসিম সংলগ্ন স্থানে ব্যথা বেশি হয়। ০৬. রিকশায় বসলে হাতে ভর করে কোমর আলগা করে রাখতে হয়। ০৭. মলত্যাগের সময় বা পূর্ব মুহূর্তে ব্যথা অনুভূত হয়। ০৮. সহবাসের সময় মাঝে মাঝে ব্যথা হয়।

প্রতিকার

সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এক্সরেসহ নানাবিধ পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়ে ব্যথার প্রতিকার করা সম্ভব। তবে, ডাক্তার কর্তৃক নির্দেশিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আরামদায়ক ফল পাওয়া যায়। ব্যথার তীব্রতা ও জটিলতার উপর ভিত্তি করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ‘ককসিস সার্জারি’ প্রয়োজন হতে পারে।

Comments 0


Share

Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd