Home  • Online Tips • Health

এলার্জি, এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট

এলার্জি, এ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্ট রোগ থেকে মুক্তির জন্য কিছু বিষয় রোগীদের পালন করা জরুরী। ঔষুধ ছাড়া শুধু নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন যাপন করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই রোগীদের চলাফেরা, ওঠাবসা, খাবার সব বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়।

করণীয়

কার্পেট ব্যবহার না করা। সম্পূর্ণ রুপে ধূমপান পরিহার করা। বাসায় কোন প্রকার পোষা প্রাণী না রাখা। মশার কয়েল বা স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা উচ্চ মাত্রার সুগন্ধি ব্যবহার না করা। ধূলাবালি থেকে বাচতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় নাকে মুখে মাস্ক, তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করা। বিছানা বা কার্পেট, পুরাতন বই পত্র অন্য কাউকে দিয়ে ঝেড়ে নেওয়া। টিভি, মশারি-স্ট্যান্ড, সিলিং ফ্যানের উপর জমে থাকা ধূলা-বালি সপ্তাহে অন্তত একবার অন্য কাউকে দিয়ে পরিস্কার করে নেওয়া বাস, মোটরগাড়ী বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক ব্যবহার করা। শীতের সময় শীতবস্ত্র ধুঁয়ে ব্যবহার শুরু করা। লেপ ভাল করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা। শীতের সময় উলেন কাপড়ের পরিবর্তে সুতি/ জিন্সের কাপড় ব্যবহার করা। পুরাতন/ বাক্সবন্দী জামা-কাপড় ধুঁয়ে রোদে ভাল করে শুকিয়ে ইস্ত্রী করে ব্যবহার করা। যেকোন স্যাঁতস্যাঁতে স্থান এড়িয়ে চলা। হাটার সময় ঘাস পরিহার করা। ছোট বা বড় ফুল ধরা গাছের নিচে / পাশে না বসা। রান্না করার সময় মশলার ঝাঁঝাঁলো গন্ধ এড়াতে মাস্ক বা গামছা ব্যবহার করা। ফ্রীজে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে গ্রহন করা। ঘরে ধূঁপ ব্যবহার না করা। ব্যবহৃত বিছানায় চাদর, বালিশের কভার এবং মশারীর সপ্তাহে একবার ধুঁয়ে ফেলা। ঘর থেকে ছারপোকা, তেলাপোকা চিরতরে নির্মূল করা। ঠান্ডা পানি এবং খাবার পরিহার করা।

যেসব খাবার পরিহার করা উচিত

মাছ-ইলিশ, চিংড়ি মাংস-গরুর মাংস দুধ ডিম-হাঁসের ডিম (সাদা অংশ) সবজি-মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন ফল-আপেল, কলা

পালনীয়

প্রতিদিন সকালে ও বিকালে মুক্ত পরিবেশে ১০ (দশ) মিনিট শ্বাসের ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়। সুযোগ পাইলে জোরে জোরে শ্বাস টানা। শ্বাস গ্রহনের পর প্রায় ১৫ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার অভ্যাস করা। দুই ঠোট শীষ দেওয়ার ভঙ্গিতে এনে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করা। শ্বাসকষ্ট বেশী হলে ভেন্টোলিন/ এ্যাজমাসল/ সালটলিন ইনহেলার ২ কাফ করে ৫ মিনিট নেওয়া। শ্বাসকষ্ট এতে শ্বাসকষ্ট না কমলে দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সবসময় হাসি-খুশি থাকলে ভালো হয়। ভয়, হতাশা ও চিন্তাগ্রস্থ না হওয়া। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ও পরামর্শ মেনে চলা ভালো।

Comments 0


Share

Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd