তরঙ্গ ও শব্দ
  1. Question:শব্দের তীক্ষ্মতা কাকে বলে? 

    Answer
    সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে একই প্রাবল্যের খাদের সুর ও চড়াসুরের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে শব্দের তীক্ষ্মতা বা পীচ বলে।

    1. Report
  2. Question:শব্দের গুণ বা জাতি কাকে বলে? 

    Answer
    সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন একই প্রাবল্য ও তীক্ষ্মতাযুক্ত শব্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে গুণ বা জাতি বলে।

    1. Report
  3. Question:শব্দ দূষণ কাকে বলে? 

    Answer
    শব্দ যখন মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটায় এবং সআবস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে।

    1. Report
  4. Question:পর্যাবৃত্ত গতি ও স্পন্দন গতির মধ্যকার পার্থক্য ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    স্পন্দন গতি সর্বদাই সরলরৈখিক। পক্ষান্তরে পর্যাবৃত্ত গতি সরলরৈখিক, বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার হতে পারে। পর্যাবৃত্ত গতির ক্ষেত্রে বস্তু তার গতিপথের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে পর্যায়কালের সমপরিমাণ সময়ে একবার মাত্র অতিক্রম করে, অপরদিকে স্পন্দন গতির ক্ষেত্রে বস্তু তার গতিপথের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে পর্যায়কালের সমপরিমাণ সময়ে দুইবার অতিক্রম করে, পরস্পর বিপরীত দিক হতে।

    1. Report
  5. Question:তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    তরঙ্গ শক্তি সঞ্চালন করলেও মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না। তরঙ্গের প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটে এবং এর বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। প্রকারভেদের ওপর নির্ভর করে তরঙ্গ সঞ্চালনে মাধ্যমের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন, যান্ত্রিক তরঙ্গ; তবে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গসমূহ সঞ্চালনে মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।

    1. Report
  6. Question:পূর্ণ কম্পনসংখ্যা এবং কম্পাঙ্কের মধ্যকার সম্পর্ক স্থান কর। 

    Answer
    প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে। কোনো কম্পনশীল বস্তুকণা t সেকেন্ডে N সংখ্যক পূর্ণকম্পন সম্পন্ন করলে প্রতি সেকেন্ডে পূর্ণকম্পন দিবে N/t  সংখ্যক।
    সংজ্ঞানুসারে, এটি হলো কম্পাঙ্ক, f । সুতরাং f = N/t, এটিই পূর্ণ কম্পন সংখ্যা এবং কম্পাঙ্কের মধ্যকার সম্পর্ক।

    1. Report
  7. Question:তরঙ্গবেগ এবং তরঙ্গস্থিত কণাসমূহের কম্পন বেগের পার্থক্য ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    নির্দিষ্ট দিকে তরঙ্গ এক সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে। অপর দিকে তরঙ্গস্থিত কণাসমূহ যে বেগে স্পন্দিত হয় তাই হলো কণাসমূহের কম্পন বেগ। তরঙ্গবেগ নির্দিষ্ট মাধ্যমে ধ্রুব থাকলেও কণাসমূহের কম্পন বেগ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। মাধ্যমের সকল কণার জন্যে তরঙ্গবেগ একটি, কিন্তু কোনো একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তকালে তরঙ্গস্থিত বিভিন্ন কণার কম্পনবেগ বিভিন্ন হয়।

    1. Report
  8. Question:কম্পাঙ্ক এবং পর্যায়কালের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন কর। 

    Answer
    প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে। অপর দিকে, যে সময়ে তরঙ্গের উপরস্থ কোনো কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হয় তাকে পর্যায়কাল বলে। কম্পাঙ্ককে f এবং পর্যায়কালকে T দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সুতরাং T সময়ে পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় 1টি
    `.:` 1 ” “   “    ”     “     “ 1/T টি
    সংজ্ঞানুসারে এটি কম্পাঙ্ক, f = 1/T; সুতরাং কম্পাঙ্ক এবং পর্যায়কাল হলো পরস্পর বিপরীত রাশি।

    1. Report
  9. Question:তরঙ্গবেগ এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যকার সম্পর্ক প্রতিপাদন কর। 

    Answer
    কম্পমান বস্তুর একটি পূর্ণ কম্পনে যে সময় লাগে সেই সময়ে তরঙ্গ যেটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে তা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সমান। সুতরাং তরঙ্গের কম্পাঙ্ক f হলে f সংখ্যক পূর্ণকম্পনকালীন সময়ে (1s)-এ তরঙ্গ `flambda` পরিমান দূরত্ব অতিক্রম করে। সংজ্ঞানুসারে এটিই হলো তরঙ্গবেগ, v = `flambda` এটিই তরঙ্গবেগ এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যকার সম্পর্ক।

    1. Report
  10. Question:শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। 

    Answer
    কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় এবং এ তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। এই তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই শব্দ তরঙেগ্র মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। বায়বীয় মাধ্যমে এর বেগ কম, তরলে তার চেয়ে বেশি, কঠিন পদার্থে আরো বেশি। শব্দের তীব্রতা তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। শব্দ তরঙ্গের প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন সম্ভব।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd