তরঙ্গ ও শব্দ
  1. Question:বাদুর কীভাবে পথ চলে- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    বাদুর শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করে সামনে ছড়িয়ে দেয়। ঐ শব্দ কোনো প্রতিবন্ধকে বাধা পেয়ে আবার বাদুরের কাছে চলে আসে। ফিরে আসা শব্দ শুনে বুঝতে পারে যে সামনে কোনো বস্তু আছে কিনা। যদি বাধা পেয়ে শব্দ ফিরে না আসে তবে বুঝতে পারে যে ফাঁকা জায়গা আছে, সেই পথ বরাবর সে উড়ে চলে।

    1. Report
  2. Question:বৈদ্যুতিক তারে ঝুলন্ত মরা বাদুর দেখা যায় কেন- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    বাদুর শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করে সামনে ছড়িয়ে দেয়। যদি বাধা পেয়ে শব্দ ফিরে না আসে তবে বুঝতে পারে যে ফাকা জায়গা আছে, সেই পথ বরাবর সে উড়ে চলে। অনেক সময়, বৈদ্যুতিক তারের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে ব্যর্থ হলে সমান্তরাল দুই তারের মধ্যদিয়ে উড়ে চলার সময় যখন ধনাত্মক ও ঋণাত্মক তারে বাদুরের শরীরের মাধ্যমে সংযোগ পেয়ে যায় তখন বাদুরের শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় আর সে মারা যায়। এ কারণে মাঝে মধ্যে বৈদ্যুতিক তারে ঝুলন্ত মরা বাদুর দেখা যায়।

    1. Report
  3. Question:কোন কোন কারণে শব্দের বেগের পরিবর্তন হয়- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    গ্যাসীয় মাধ্যম অপেক্ষা তরল মাধ্যমে শব্দের বেগ বেশি এবং কঠিন মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা বেশি। এছাড়া, বায়ু এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড উভয়ে গ্যাসীয় হলেও এদের মধ্যে শব্দের বেগ ভিন্ন মানের। সুতরাং শব্দের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নির্দিষ্ট মাধ্যমে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়। সুতরাং শব্দের বেগ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ওপরও নির্ভর করে।

    1. Report
  4. Question:শ্রাব্যতার সীমা বলতে কী বোঝ? 

    Answer
    মানুষ যেকোনো কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায় না। শব্দের কম্পাঙ্ক 20Hz এর বেশি এবং 20,000Hz এর কম হলে তবেই মানবকর্ণ উক্ত শব্দ শুনতে পায়। কম্পাঙ্কের এ সীমার ওপর শ্রাব্যতার সীমা বলে। অণ্যান্য প্রাণিদের জন্য এই শ্রাব্যতার সীমা আলাদা আলাদা মানের হবে।

    1. Report
  5. Question:শব্দোত্তর শব্দের প্রয়োগ সংক্ষেপে আলোচনা কর। 

    Answer
    শব্দোত্তর তরঙ্গের মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা যায়। কাপড়ের ময়লা পরিষ্কারের কাজে ওয়াশিং মেশিনে শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। মানবদেহের রোগ নির্ণয়ে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দাঁতের স্কেলিং বা পাথর তোলার জন্য, কিডনির ছোট পাথর ভেঙে গুড়া করে তা অপসারণের কাজে, ধাতব পিন্ড বা পাতে সূক্ষ্মতম ফাটল অনুসন্ধানে, সূক্ষ্ম ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি পরিস্কার করার কাজে, ক্ষতিকর রোগজীবানু ধ্বংসের কাজে শব্দোত্তর কম্পনের শব্দ ব্যবহৃত হয়।

    1. Report
  6. Question:কোন ক্ষেত্রে শব্দেতর তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়? 

    Answer
    শব্দেতর কম্পনের শব্দ মানুষ শুনতে না পেলেও কোনো কোনো জীবজন্তু শুনতে পায়। হাতি এই কম্পনের শব্দ দ্বারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। কোনোরূপ বিকৃতি ছাড়া এই শ্বদ বহুদূর পর্যন্ত যেতে পারে। ভূমিকম্প এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় এই শব্দেতর কম্পনের ‍সৃষ্টি হয় এবং প্রবল ঝাকুনির মাধ্যমে ধ্বংস যজ্ঞ চালায়।

    1. Report
  7. Question:পুরুষের গলার স্বর মোটা কিন্তু নারী ও শিশুদের গলার স্বর তীক্ষ্ম কেন- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ভোকাল কর্ডের কম্পনের ফলে গলা থেকে শব্দ নির্গত হয় এবং মানুষ কথা বলে। বয়স্ক পুরুষদের ভোকাল কর্ড বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃঢ় হয়। কিন্তু শিমু বা নারীদের ভোকাল কর্ড দৃঢ় থাকে না, ফলে বয়স্ক পুরুষদের গলার স্বরের কম্পাঙ্ক কম এবং নারী বা শিশুদের স্বরের কম্পাঙ্ক বেশি হয়। তাই পুরুষদের গলার স্বর মোটা কিন্তু শিশু বা নারীদের কন্ঠস্বর তীক্ষ্ম।

    1. Report
  8. Question:শব্দ দূষণ বলতে কী বোঝ? 

    Answer
    বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন জোরালো এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ যখন মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটায় এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে। পারস্পরিক যোগাযোগ ও ভাব আদান-প্রদানের জন্য শব্দের প্রয়োজন থাকলেও অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও কোলাহল অসহ্য লাগে। মাইকের অবাধ ব্যবহার, পটকা ফোটানোর আওয়াজ, কলকারখানার শব্দ, গাড়ির হর্ণের আওয়াজ, পুরনো গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ প্রভৃতি শব্দ দূষণের প্রধান কারণ।

    1. Report
  9. Question:শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা কর। 

    Answer
    শব্দ দূষণের কারণে অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও কোলাহলে অসহ্য অনুভূত হয়। অবিরাম তীব্র শব্দ মানসিক উত্তেজনা বাড়ায় ও মেজাজ খিটখিটে করে। শব্দ দূষণ বমি বমি ভাব, ক্ষুদা মন্দা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদপিন্ড ও মস্তিষ্কের জটিল রোগ, অনিদ্রাজনিত অসুস্থতা, ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়া, কর্মদক্ষতা হ্রাস, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মাথা ঘোরা প্র্রভৃতি ক্ষতিকারক প্রভাব সৃষ্টি করে। 
    হঠাৎ তীব্র শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট করতে পারে।

    1. Report
  10. Question:যান্ত্রিক তরঙ্গ এবং তাড়িচৌম্বক তরঙ্গের মধ্যকার পার্থক্য- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য অবশ্যই মাধ্যমে প্রয়োজন হয়, কিন্তু তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। যান্ত্রিক তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য (যেমন, শব্দ) এবং অনুপ্রস্থ (যেমন, পানির ঢেউ) উভয় প্রকৃতির হতে পারে, যেখানে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গসমূহ কেবল অনুপ্রস্থ প্রকৃতির হয়।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd