স্থির তড়িৎ
  1. Question:আধান চলাচলের ওপর ভিত্তি করে পদার্থসমূহ কয়ভাগে ভাগ করা যায়- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    আধান চলাচলের ওপর ভিত্তি করে পদার্থসমূহকে দুইভাগে ভাগ করা যায়, পরিবাহী ও অপরিবাহী। যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ তথা আধান সহজে চলাচল করতে পারে তাদেরকে পরিবাহক বা পরিবাহী বলে। যেমন- ধাতব পদার্থ, মাটি, মানবদেহ প্রভৃতি। অপর পক্ষে যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ তথা আধান চলাচল করতে পারে না তাদেরকে অন্তরক বা অপরিবাহক বলে। যেমন কাঠ, কাগজ, কাচ ইত্যাদি।

    1. Report
  2. Question:বিভব পার্থক্যের ব্যবহারিক প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    দুটি বস্তু বা বিন্দুর মধ্যে বিভবপার্থক্য থাকলে এদের একটি হতে অপরটিতে আধানের স্থানান্তর ঘটে, এভাবে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট তড়িৎপ্রবাহ কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করলে এক পর্দায় ছবি দেখতে পাই, হিটারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করলে তাপ উৎপন্ন হয়। বিদ্যুৎশক্তি হলো শক্তির সবচেয়ে সুবিধাজনক রূপ এবং এটি হতে অপরশক্তি পাওয়া যায় বিভব পার্থক্যকে ব্যবহারিকভাবে প্রয়োগ করে।

    1. Report
  3. Question:রং স্প্রে করার কাজে স্থির তড়িতের ধর্ম কীভাবে ব্যবহার করা হয়? 

    Answer
    রং স্প্রে গানের সুচালো প্রান্তটি একটি স্থির তড়িৎ জেনারেটরের এক প্রান্তের সাথে সংযুক্ত করা হয়। জেনারেটরের অপর প্রান্তটি যে ধাতব পাতটি রং করতে হবে তার সাথে সংযুক্ত করা হয় যা অবশ্যই ভূ-সংযুক্ত থাকে। একটি গাড়ি রং করার ক্ষেত্রে স্প্রে গান থেকে নির্গত আহিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা গাড়ির বাইরের কাঠামো দ্বারা আকৃষ্ট হয়। ফলে গাড়ি বহিরাবরণের উপর রং এর একটি সুষম আস্তরণ পড়ে।

    1. Report
  4. Question:বিমানে জ্বালানি ভরার সময় স্থির তড়িতের বিপদ ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    আকাশে যখন বিমান উড়ে তখন বায়ুর সাথে ঘর্ষণের ফলে এটি তড়িৎগ্রস্থ হতে পারে। বিমানের আধান বাড়তে থাকলে বিমান ও ভূ-পৃষ্টের মধ্যে বিভব পার্থক্য বাড়াতে থাকে। এত উচ্চ বিভব পার্থক্যের কারণে বিমানে যখন জ্বালানি ভরা হয় তখন কিছু আধান ভূমিতে চলে যাওয়ার সময় স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা বিরাট বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

    1. Report
  5. Question:বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ধাতব খুটির সরাসরি সংযোগ থাকে না কেন? 

    Answer
    ধাতু তড়িতের সুপরিবাহী। ধাতব খুটির সাথে সরাসরি সংযোগ করা হলে তারের তড়িৎ খুটির মধ্য দিয়ে মাটিতে চলে যেত। কেউ এ খুটি স্পর্শ করলে সাথে সাথে তড়িৎ স্পৃষ্ট হতো এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতো। তাই বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ধাতব খুটির সরাসরি সংযোগ থাকে না।

    1. Report
  6. Question:বজ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয়? 

    Answer
    জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলের আহিত আয়নগুলোর ওপর ঘনীভূত হয়ে পানি কণার সৃষ্টি করে এবং তাড়ি-তাহিত হয়। এই ধরনের পানির কণাগুলো একত্রিত হলেই মেঘের উৎপত্তি হয়। মেঘ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক যেকোনো ভাবেই আহিত হতে পারে। তাড়িতাহিত মেঘে যদি তাড়িতের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে তা তড়িৎক্ষরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে আসে। এভাবে বজৃপাত সৃষ্টি হয়।

    1. Report
  7. Question:বজ্র নিরোধক কীভাবে কাজ করে? 

    Answer
    যখন তড়িৎগ্রস্থ মেঘ বাড়ির উপরে আসে, তখন দন্ডের উপরি প্রান্ত তীক্ষ্মগ্র বিশিষ্ট হওয়ায় ঐ তীক্ষ্মগুলোতে বেশি আধান জমা হয় এবং সূচিমুখ দিয়ে তড়িৎক্ষরণ হয়। বায়ুকণাগুলো এই আধান নিয়ে আহিত হয় এবং মেঘের বিপরীত আধান কর্তৃক আকৃষ্ট হয়ে মেঘের দিকে চলে যায় এবং মেঘকে নিস্তরিত করে। ফলে বজ্রপাতের সম্ভাবনা কম থাকে।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd