Question:পরমাণুর নিউক্লিয়াসে কয় ধরনের কণা থাকে?
Answer
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে দুই ধরনের কণা থাকে।
Question:পরমাণুর নিউক্লিয়াসে কয় ধরনের কণা থাকে?
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে দুই ধরনের কণা থাকে।
Question:উলের পুলওভারের সাথে চিরুনী ঘষে নিলে সেটি দ্বারা চুল আচরানো কষ্টকর কেন?
উলের পুলওভারের সাথে চিরুনী ঘষলে চিরুনি স্থির তড়িৎপ্রাপ্ত হয়। ঐ চিরুণি চুলে স্পর্শ করালে চিরুনি হতে চুলে স্থিরতড়িৎ চলে আসে, ফলে সমধর্মী আধানের কারণে চুলগুলো একটি অপরটি হতে দূরে সরে যায় বা বিকর্ষণ করে বলে ঐ চিরুনী দ্বারা চুল আচড়ানো কষ্টকর।
Question:আবেশী আধান কাকে বলে?
যে আধান কোনো অনাহিত পরিবাহীতে তড়িৎ আবেশের সৃষ্টি করে তাকে আবেশী আধান বলে।
Question:একটি সরল ধারক তৈরি করা হয় কীভাবে?
একটি সরল ধারক তৈরি করা হয় দুটি আন্তরিত ধাতব পাতকে পরস্পর সমান্তরালে রেখে। যখন একটি ব্যাটারিকে এর দুটি পাতের সাথে সংযুক্ত করা হয়, তখন ব্যাটারির ঋণাত্মক দন্ড থেকে ইলেকট্রন একটি পাতে প্রবাহিত হয় এবং এটি ঋণাত্মক আধানে আহিত হয়। ধারকের অন্য পাত থেকে ইলেকট্রন ব্যাটারির ধনাত্মক দন্ডে প্রবাহিত হয়, ফলে েঐ পাত ধনাত্মকভাবে আহিত হয়। পাতগুলোকে কত আধান জমা হবে তা ব্যাটারির ভোল্টেজের উপর নির্ভর করে।
Question:পরমাণুর গঠনের ভিত্তিতে কোনো বস্তুর আহিত হওয়ার ঘটনা ব্যাখ্যা কর।
কোনো পরমাণুতে ইলেকট্রনের সংখ্যা এবং প্রোটনের সংখ্যা সমান থাকলে পরমাণু নিস্তড়িত অবস্থায় থাকে। কিন্তু যখন পরমাণুতে এদের সংখ্যা অসমান হয় তখন পরমাণু তড়িৎগ্রস্থ বা আহিত হয়। কোনো পরমাণুতে ইলেকট্রনের সংখ্যা কমে গেলে প্রোটনের আধিক্য দেখা যায়। এ অবস্থাকে বলা হয় ধনাত্মক আধানে আহিত হওয়া। আবার বহিঃস্থ ইলেকট্রন কোনো পরমাণুর সাথে যুক্ত হলে ঐ পরমাণুর ইলেকট্রন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আকে বলে ঋণাত্মক আধানে আহিত হওয়া।
Question:কোনো বস্তুকে ঘর্ষণ পদ্ধতিতে কীভাবে আহিত করা যায় বর্ণনা কর।
স্বাভাবিক অবস্থায় পদার্থের পরমাণুতে ইলেকট্রন ও প্রোটন সমপরিমাণে থাকে। তবে প্রত্যেক পরমাণুরই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইলেকট্রনের প্রতি আসক্তি থাকে। দুটি বস্তুর মধ্যে যখন ঘর্ষণ হয়, তখন যার ইলেকট্রন আসক্তি বেশি তা ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানে আহিত হয় এবং অপরটি ইলেকট্রন হারিয়ে ধনাত্মক আধানে আহিত হয়।
Question:তিড়িৎ আবেশ কী?
একটি আহিত বস্তুকে কোনো পরিবাহকের নিকট রেখে আহিত বস্তুর প্রভাবে পরিবাহকটিকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।
Question:আবেশি আধান ও আবিষ্ট আধান বলতে কী বোঝ?
আহিত বস্তুর যে আধান তড়িৎ আবেশের মাধ্যমে পরিবাহকে আবেশ সৃষ্টি করে তাকে আবেশি আধান বলে। তড়িৎ আবেশের ফলে কোনো পরিবহাকে যে আধানের সঞ্চার হয় তাকে আবিষ্ট আধান বলে।
Question:কোনো বস্তুকে আবেশ পদ্ধতিতে কীভাবে আহিত করা যায় বর্ণনা কর।
কোনো বস্তুকে আবেশ প্রক্রিয়ায় আহিত করা যায়। কোনো পরিবাহী AB কে ধনাত্মক চার্জে চার্জিত করার জন্য প্রথমে একটি ইবোনাইট দন্ডকে (R) ফ্লানেলের সাথে ঘষে একে ঋণাত্মক আধানে আহিত করতে হবে। এরপর একে পরিবাহীর A প্রান্তের নিকট ধরলে পরিবাহরেক মুক্ত ইলেকট্রনগুলো ইবোনাইট দন্ডের ইলেকট্রন দ্বারা বিকর্ষিত হয়ে B প্রান্তে সরে যাবে। এখন ইবোনাইট দন্ডটিকে না সরিয়ে AB পরিবাহকটির B প্রান্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলে বা ভূ-সংযোজিত করলে মুক্ত ইলেকট্রনগুলো ভূ-পৃষ্ঠে চলে যায়। এখন ভূ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ধনাত্মক আধানগুলো A প্রান্তে আবদ্ধ থাকে। এবার R দন্ডটিকে সরিয়ে নিলে ধনাত্মক আধানগুলো বস্তুটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে, ফলে বস্তুটি ধনাত্মক আধানে আহিত হবে। AB পরিবাককে ঋণাত্মক আধানে আহিত করার জন্য একটি কাচদন্ডকে (R) রেশেমে ঘষে ধনাত্মক আধানে আহিত করে AB পরিবহাককের A প্রান্তের নিকটে ধরলে পরীক্ষণীয় দন্ডের মুক্ত ইলেকট্রনগুলো R দন্ডের ধনাত্মক আধান কর্তৃক আকৃষ্ট হয়ে A প্রান্তে সরে আসবে। ফলে B প্রান্তে ধনাত্মক আধানের সঞ্চার হবে। এখন R দন্ডটিকে না সরিয়ে AB পরিবাহকটির B প্রান্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলে বা ভূ-সংযোজিত করলে ভূমি থেকে ইলেকট্রন এসে B প্রান্তের ধনাত্মক আধানকে নিস্ক্রিয় করে দিবে। এরপর ভূ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও ঋণাত্মক আধানগুলো A প্রান্তে আবদ্ধ থাকবে। এবার R দন্ডটিকে সরিয়ে নিলে ঋণাত্মক আধানগুলো পরিবহাকের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। ফলে পরিবাহকটি ঋণাত্মক আধানে আহিত হবে।
Question:একটি স্বর্ণপাত তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রকে কীভাবে ধনাত্মক আধানে আহিত করা যায় বর্ণনা কর।
একটি কাচদন্ডকে রেশম দিয়ে ঘষলে কাচদন্ডে ধনাত্মক আধানের উদ্ভব হয়। ঐ আহিত কাচদন্ডকে তড়িৎবীক্ষণের চাকতি বা গোলকের গায়ে স্পর্শ করালে দন্ড হতে খানিকটা আধান চাকতিতে চলে যায়। এই আধান সুপরিবাহী ধাতব দন্ডের মধ্য দিয়ে সোনার পাতদ্বয়ে পৌঁছে। ফলে সোনার পাত দুইটি একই জাতীয় আধান পেয়ে বিকর্ষণের জন্য দূরে সরে যায়। এ অবস্থায় কাচদন্ড সরিয়ে নিলে যদি পাতদ্বয়ের মধ্যবর্তী ফাঁক না কমে, তাহলে যন্ত্রটি ধনাত্মক আধানে আহিত হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।