পদার্থ বিজ্ঞান-নবম-দশম
  1. Question:‘সকল পর্যাবৃত্ত গতি ঘূর্ণন গতি নয়’- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    যখন কোনো বস্তু কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষ থেকে বস্তুকণাগুলোর দূরত্ব অপরিবর্তিত রেখে ঐ বিন্দু বা অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘোরে তখন সে বস্তু গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে। অপরদিকে, কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতি পথ কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একই দিক থেকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে।
    তাহলে দেখা যাচ্ছে, ঘূর্ণন গতিসম্পন্ন কোনো বস্তুর বৃত্তাকার গতিপথের যেকোনো বিন্দুকে বিন্দুকে নির্দিৃষ্ট সময় পরপর একই দিক হতে অতিক্রম করতে হয় বলে ঘূর্ণন গতি এক প্রকার পর্যাবৃ্ত্ত গতিও বটে। তবে সকল পর্যঅয়বৃত্তগতি সম্পন্ন বস্তুর গতি ঘূর্ণন গতি নয়, যেমন অল্প বিস্তারে সরল দোলকের গতি, যা পুরোপুরি রৈখিক গতি।

    1. Report
  2. Question:‘এ মহাবিশ্বের সকল স্থিতিই আপেক্ষিক, সকল গতিই আপেক্ষিক- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    পরম স্থিতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর স্থিতিকে পরম স্থিতি বলে এবং পরম স্থিতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর গতিকে পরম গতি বলে। কিন্তু এ মহাবিশ্বের এমন কোনো প্রসঙ্গ বস্তু পাওয়া সম্ভব নয় যা প্রকৃতপক্ষে স্থির রয়েছে। কারণ পৃথিবী প্রতিনিয়ত সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ নিয়ে ছায়াপথে ঘুরছে। কাজেই আমরা যখন কোনো বস্তুকে স্থিতিশীল বা গতিশীল বলি তা আমরা কোনো আপাত স্থিতিশীল বস্তুর সাপেক্ষে বলে থাকি। কাজেই আমরা বলতে পারি এ মহাবিশ্বের সকল স্থিতিই আপেক্ষিক, সকল গতিই আপেক্ষিক।

    1. Report
  3. Question:‘স্পন্দন গতি এক প্রকার পর্যাবৃত্ত গতি’- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    আমরা জানি, কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতিপথের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। আবার, কোনো বস্তু যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় একই পথে তার বিপরীত দিকে চলে তবে এর গতিকে স্পন্দন গতি বলে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, স্পন্দনগতি সম্পন্ন কোনো বস্তু তার গতিপথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই বেগে এই দিক হতে অতিক্রম করে বলে সংজ্ঞানুসারে এর গতি পর্যাবৃত্ত গতিও বটে। তাই স্পন্দনগতি এক প্রকার পর্যাবৃত্ত গতি।

    1. Report
  4. Question:সাম্য বল কাকে বলে? 

    Answer
    যেসব বলের কারণে সাম্যবস্থা সৃষ্টি হয় তাদেরকে সাম্যবল বলে।

    1. Report
  5. Question:ঘর্ষণ বল কেন উৎপন্ন হয়? 

    Answer
    যখন একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর উপর দিয়ে গতিশীল হয় তখন উভয় বস্তুর স্পর্শতলে বিদ্যমান ছোট ছোট খাঁজ একটি ভিতর আরেকটি ঢুকে যায়। যার ফলে একটি তলের উপর দিয়ে অপর তলের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এভাবে বস্তুদ্বয়ের মধ্যে ঘর্ষণ বলের উৎপত্তি হয়।

    1. Report
  6. Question:স্পর্শ বল কাকে বলে? 

    Answer
    যে বল সৃষ্টির জন্য দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের প্রয়োজন তাকে স্পর্শ বলে।

    1. Report
  7. Question:বৃত্তাকার পথে সুষম দ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান বস্তুর ত্বরণ থাকে কিনা ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    বৃত্তাকার পথে সুষম দ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান বস্তুর ত্বরণ থাকে।
    আমরা জানি, বস্তুর বেগের মান বা দিক যেকোনো একটি পরিবর্তন হলেই ত্বরণ সৃষ্টি হয়। বৃত্তাকার পথে সুষম দ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান বস্তুর বেগের মান পরিবর্তন না হলেও প্রতি মুহূর্তে বেগের দিক পরিবর্তন হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বস্তুর ত্বরণ থাকে।

    1. Report
  8. Question:স্পর্শ বল কাকে বলে? 

    Answer
    যে বল সৃষ্টির জন্য দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের প্রয়োজন তাকে স্পর্শ বল বলে।

    1. Report
  9. Question:সাম্য বল কাকে বলে? 

    Answer
    কোনো বস্তুর উপর একাধিক বল ক্রিয়া করলে যদি বলের লব্ধি শূন্য হয় অর্থাৎ ব্স্তুর কোনো ত্বরণ না হয় তাহলে সেই বলগুলোকে সাম্য বল বলে।

    1. Report
  10. Question:গতির উপর বলের দুটি প্রভাব লিখ। 

    Answer
    গতির উপর বলের দুটি প্রভাব হলো-
    (ক) প্রযুক্ত বল কোনো স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে।
    (খ) প্রযুক্ত বল গতিশীল বস্তুর বেগ বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারে।

    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd