পদার্থ বিজ্ঞান-নবম-দশম
  1. Question:যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনে মাধ্যম অপরিহার্য কেন? 

    Answer
    যান্ত্রিক তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য বা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ যাই হোক না কেন এটি মাধ্যমের সংকোচন ও প্রাসরণ কিংবা মাধ্যমকে স্পন্দিত করে মাধ্যমের সাথে সমকোণ উৎপন্ন করে অগ্রসর হয়। এই স্পন্দন উৎপন্ন করার জন্য স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যম অত্যাবশ্যক এবং অপরিহার্য। শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ; যা কঠিন, তরল ও বায়বীয় যেকোনো স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে পারে।

    1. Report
  2. Question:বাদুর কত হার্জ কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরী করতে পারে? 

    Answer
    বাদুর 100000 হার্জ কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরী করতে পারে।

    1. Report
  3. Question:শূন্য মাধ্যমে শব্দ অগ্রসর হতে পারে না- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    শূন্য মাধ্যমে কোনো কম্পন হয় না বলে এ মাধ্যমে শব্দ অগ্রস হতে পারে না। 
    আমরা জানি, শব্দের উৎপত্তি হয় বস্তুর কম্পনের ফলে। শব্দ শোনার জন্য বস্তুর কম্পনকে আমাদের কানে পৌঁছাতে হবে। সুতরাং শব্দের উৎস ও কানের মাঝে একটি জড় স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, যার কণাগুলো পর্যায়ক্রমে কম্পিত হয়ে উৎসের কম্পন সামনের দিকে এগিয়ে দিবে। শূন্য মাধ্যমে উৎসের কম্পন কোনো আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারে না। এ কারণে শূন্য মাধ্যমে শব্দ অগ্রসর হতে পারে না।

    1. Report
  4. Question:তরঙ্গ বেগ কী? 

    Answer
    তরঙ্গ নির্দিষ্ট দিকে একক সময়ের যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে।

    1. Report
  5. Question:পুকুরের ঢেউ এক পর্যায় বৃত্ত আন্দোলন ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    পুকুরের পানিতে ঢেউ সৃষ্টি হলে পানির কণাগুলো সামনের দিকে অগ্রসর হয় না শুধু উপর নিচে ওঠানামা করে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে পানির কণাগুলো পর্যাবৃত্ত স্পন্দন গতি লাভ করে। পানিতে পর্যায়ক্রমে তরঙ্গশীর্ষ ও তরঙ্গপাদ এর সৃষ্টি হয় যা একটি অনুপ্রস্থ তরঙেগ্র আকারে সঞ্চালিত হয়। সুতরাং পুকুরের পানির ঢেউ একটি পর্যাবৃত্ত আন্দোলন।

    1. Report
  6. Question:তরঙ্গশীর্ষ কাকে বলে? 

    Answer
    অনুপ্রস্থ তরঙ্গের সর্বোচ্চ বিন্দুকে তরঙ্গশীর্ষ বলে।

    1. Report
  7. Question:শব্দ কীভাবে উৎপন্ন হয় ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    শব্দ উৎপন্নের মূল কারণ হলো বস্তুর কম্পন। সুরশলাকা, কাসার বাটি, স্কুলের ঘন্টা যখন বাজে তখন হাত দিয়ে আস্তে আস্তে স্পর্শ করলে বুঝা যায় যে ওটা কাঁপছে। কথা বলার সময় কণ্ঠনালী স্পর্শ করলে দেখঅ যায় যে, কণ্ঠনারী কাঁপছে। যতক্ষণ বাটিটি শব্দ সৃষ্টি করছিল ততক্ষণ সেটি কেঁপেছে তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। বাটিটির শব্দ থেমে গেলে তার কম্পনও থেমে গেছে আর ঢেউও থেমে গেছে। সুতরাং বস্তুর কম্পনের ফলেই শব্দ উৎপন্ন হয়।

    1. Report
  8. Question:কম্পাঙ্ক কাকে বলে? 

    Answer
    তরঙ্গ সঞ্চারণকারী কোনো কণা প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করে তাকে কম্পাঙ্ক বলে।

    1. Report
  9. Question:একটি লম্বা দড়ির এক প্রান্ত ধরে উপর-নিট সঞ্চালিত করলে কোন ধরনের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    একটি লম্বা দড়ির এক প্রান্ত ধরে উপর নিচে সঞ্চালিত করলে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। 
    এক্ষেত্রে দড়ির কণাগুলো তরঙ্গ প্রবারেহ দিকের সাথে সমকোণে স্পন্দিত হয়। অর্থাৎ দড়ির প্রতিটি কণার স্পন্দনের অভিমুখ তরঙ্গের গতির অভিমুখের সাথে সমকোণে আছে, যা অনুপ্রস্থ তরঙ্গের শর্তের সাথে মিলে যায়।

    1. Report
  10. Question:কীভাবে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ সনাক্ত করবে- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    যে সব শব্দ উৎসের নিয়মিত ও পর্যাবৃত্ত কম্পনের ফলে উৎপন্ন হয় সেগুলো আমাদের কানে শ্রুতিমধুর বলে মনে হয় এবং এগুলোকে সরযুক্ত শব্দ বলে। গিটার, বেহালা, বাশের বাঁশি প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সুরযুক্ত শব্দ বলে। অপরদিকে, শব্দের উৎসের অনিয়মিত ও অপর্যাবৃত্ত কম্পনের ফলে যে শব্দ উৎপন্ন হয় তা আমাদের কানে শ্রুতিকটু বলে মনে হয়। যেমন, যানবাহন চলাচলের শব্দ, হাটবাজারের শব্দ প্রভৃতি।

    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd