পদার্থ বিজ্ঞান-নবম-দশম
  1. Question:বাস্তব প্রতিবিম্ব কাকে বলে? 

    Answer
    কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে প্রকৃত পক্ষে মিলিত হয় তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর বাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।

    1. Report
  2. Question:অবাস্তব প্রতিবিম্ব কাকে বলে? 

    Answer
    কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসারিত হচেব্ছ বলে মনে হয়, তবে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর অবাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।

    1. Report
  3. Question:আলোর প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর। 

    Answer
    আলো এক প্রকার শক্তি, যা তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের আকারে সঞ্চালিত হলেও কোনো কোনো ঘটনায় আলো তরঙ্গের ন্যায়, আর কখনো কখনো আলো কণার ন্যায় আচরণ করে। কোনো স্বচ্ছ সমসত্ত্ব মাধ্যমে আলো সরলপথে চলে এবং কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলো একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে। শূন্যস্থানে এই বেগের মান `3xx10^8ms^(-1)`।
    আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যতিচার, অপবর্তন, বিচ্ছুরণ এবং সমবর্তন ঘটে।

    1. Report
  4. Question:আমরা কীভাবে দেখতে পাই- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ‘দীপ্তিমান বস্তুসমূহ হতে আলো সরাসরি এসে আমাদের চোখে প্রবেশ করে বলে আমরা ঐ বস্তুসমূহ দেখতে পাই। অপর দিকে, দীপ্তিহীন বস্তুসমূহ দেখতে দীপ্তিমান বস্তু হতে নির্গত আলো এবং আলোর প্রতিফলন কাজে লাগে। এক্ষেত্রে, দীপ্তিমান বস্তুসমূহ হতে আলোর প্রতিফলন কাজে লাগে। এক্ষেত্রে, দীপ্তিমান বস্তুসমূহ হতে নির্গত আলো দীপ্তিহীন বস্তুসমূহের উপর আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর আমাদের চোখে প্রবেশ করে।

    1. Report
  5. Question:সমতল দর্পণ ও গোলীয় দর্পণে সৃষ্ট বিম্বের তুলনা কর। 

    Answer
    সমতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্ব সর্বদা সোজা ও লক্ষবস্তুর আকারের সমান হয়। অপর দিকে লক্ষবস্তুর অবস্থানভেদে গোলীয় দর্পণে সৃষ্ট বিম্ব সোজা বা উল্টা, লক্ষবস্তুর সমান বা বিবর্ধিত বা খর্বিত হতে পারে। এক্ষেত্রে উত্তল দর্পণে সর্বদা খর্বিত বিম্ব গঠিত হয় এবং অবতল দর্পণে খর্বিত বা বিবর্ধিত বিম্ব গঠিত হতে পারে।

    1. Report
  6. Question:অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ কেন বলা হয়? 

    Answer
    একটি কাচের ফাপা গোলকের খানিকটা অংশ কেটে নিয়ে যদি তার স্ফীত বা উত্তল পৃষ্ঠে প্যারা লাগানোর ফলে যদি এর ভিতরে প্রবিষ্ট পৃষ্ঠে বা অবতল পৃষ্ঠে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তবে তাকে অবতল দর্পণ বলা হয়। আকৃতিগত কারণেই প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোকরশ্মি অবতল দর্পণে প্রতিফলনের পর অভিসারী গুচ্ছে পরিণত হয়। তাই অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলা হয়।

    1. Report
  7. Question:বাস্তব প্রতিবিম্ব ও অবাস্তব প্রতিবিম্বের মধ্যকার পার্থক্য ব্যাক্যা কর। 

    Answer
    প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত আলোক রশ্মিসমূহের প্রকৃত মিলনের ফলে বাস্তব প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। অপর দিকে, অবাস্তব প্রতিবিম্বের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মিসমূহের প্রকৃত মিল ঘটে না, তবে কোনো বিন্দু হতে আলোকরশ্মিসমূহ নির্গত হচ্ছে বলে মনে হয়। বাস্তব প্রতিবিম্ব সর্বদা উল্টা হয় এবং অবাস্তব প্রতিবিম্ব লক্ষ্যবস্তুর সাপেক্ষে সোজা হয়। বাস্তব প্রতিবিম্ব পর্দায় ফেলা যায়, কিন্তু অবাস্তব প্রতিবিম্ব পর্দায় ফেলা যায় না।

    1. Report
  8. Question:সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের ক্ষেত্রে সমতল দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব যত, দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্বও তত। প্রতিবিম্বের আকার লক্ষবস্তুর আকারের সমান হয়। প্রতিবিম্ব অবাস্তব এবং সোজা হয়।

    1. Report
  9. Question:অবতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব কীরূপ হয়- ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    অবতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব কীরূপ হবে তা নির্ভর করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থানের উপর। লক্ষবস্তু প্রধান ফোকাসের বাইরে থাকলে বাস্তব ও উল্টা প্রতিবিম্ব এবং ভেতরে থাকলে অবাস্তব ও সোজা প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। লক্ষ্যবস্তুর বক্রতার কেন্দ্রের বাইরে থাকলে খর্বিত বিম্ব, ভেতরে থাকলে বিবর্ধিথ বিম্ব এবং বক্রতার কেন্দ্রের উপর থাকলে লক্ষবস্তুর সমান আকারের বিম্ব গঠিত হয়।

    1. Report
  10. Question:চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবতল দর্পণের ব্যবহার লিখ। 

    Answer
    দাঁতের চিকিৎসা করা বা দাঁত পরীক্ষা করার কাজে অবতল দর্পণ ব্যবহার হয়। দাঁত পরীক্ষা করার সময় দর্পণটিকে দাঁতের বেশ নিকটে রাখা হয়। ফলে দর্পণে দাতের একটি অবাস্তব ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। এছাড়া নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকরাও বিভিন্ন প্রয়োজনে অবতল দর্পণ ব্যবহার করে থাকেন।

    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd