Question:আলোক প্রতিসরণের প্রথম সূত্রটি বিবৃত কর। 

আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে বিভেদ তলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব িএকই সমতলে থাকে।

Question:কাচের ক্রান্তি কোণ `41^0`বলতে কী বোঝ? 

কাচের ক্রান্তি কোণ `41^0` বলতে বোঝায়-
১. কাচ মাধ্যম থেকে আরৈাক রশ্মি `41^0` কোণে কাচ ও বায়ু মাধ্যমের বিভেদতলে আপতিত হলে আলোক রশ্মি বিভেদতল ঘেষে চলে যাবে।
২.
কাচ মাধ্যম থেকে আলোকরশ্মি সঙ্কট কোণে আপতিত হয়ে অভিলম্বের সাথে `90^0` কোণ তৈরি করবে অর্থাৎ প্রতিসরণ কোণ হবে `90^0`।

Question:প্রতিসরাঙ্ক কীসের ওপর নির্ভর করে? 

প্রতিসরাঙ্ক মাধ্যমদ্বয়ের প্রকৃতি ও আলোর রঙের ওপর নির্ভর করে।

Question:আলোর কোন ঘটনার জন্য মরুভূমির মরিচীকা দেখা যায় ব্যাখ্যা কর। 

আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জন্য মরুভূমিতে মরিচীকা দেখা যায়। মরুভূমিতে সূর্যের প্রচন্ড তাপে উত্তপ্ত বালি সংলগ্ন বায়ু উত্তপ্ত হয়ে হাল্কা হয় এবং উপরের দিকে যাওয়ার সময় ক্রমশ ঘনতর হতে থঅকে। ‍উঁচু কোণ লক্ষবস্তু থেকে আলোক রশ্মি পথিকের চোখে আসার সময় ঘনতর মাধ্যম থেকে লঘুতর মাধ্যমে প্রবেশ করে পর্যায়ক্রমির প্রতিসরণের ফলে যখন আপতন কোণ ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় হয় তখন আর প্রতিসরিত না হয়ে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে এবং আলোক রশ্মি উপরের দিকে উঠে বাঁকা পথে পথিকের চোখে পৌঁছে লক্ষ্যবস্তুর উল্টা বিম্ব ধরা পড়ে। তখন পথিকের সামনের ভূ-পৃষ্ঠকে দর্পণের মত মনে হবে। এই ধরনের দৃষ্টিভ্রম হওয়াকে মরীচিকা বলে।

Question:শ্বেতমন্ডল কী? 

শ্বেতমন্ডল হলো শক্ত, সাদা, অস্বচ্ছ তন্তু দিয়ে তৈরি অক্ষি গোলকের বাইরের আবরণ।

Question:অভিসারী লেন্স বলতে কী বুঝায়? 

যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও প্রান্ত সরু তাকে উত্তল লেন্স উত্তল লেন্সে আরৈাক রশ্মি উত্তল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে তাকে উত্তল লেন্স বলে। এই লেন্স সাধারণত এক গুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে থাকে বলে একে অভিসারী লেন্সও বলা হয়।

Question:রঙিন বস্তুর আলোকীয় উপলব্ধি কীভাবে ঘটে? 

রেটিনা থেকে যে নার্ভগুলো মস্তিষ্কে গিয়েছে সেগুলোর নাম রড ও কোণ। এদের মধ্যে কোণ কোষগুলো বর্ণ সংবেদনশীল। তিন ধরণের কোণ আছে। নীলবর্ণ সংবেদনশীল কোণ, লাল বর্ণ সংবেদনশীল কোণ এবং সবুজ বর্ণ সংবেদনশীল কোণ। কোনো বর্ণ যতই মিশ্র বা জটিল হোক না কেন চোখ সকল বর্ণকে মাত্র এই তিনটি বর্ণে ধারণ করে। রেটিনার আবার বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল বর্ণকে আলাদা করে দেয়। এভাবেই আমরা রঙিন বস্তুর আলোকীয় উপলব্ধি পাই।

Question:লেন্সের ক্ষমতা -2.5d বলতে কী বুঝ? 

লেন্সের ক্ষমতা -2.5d বলতে আমরা দুটি বিষয় বুঝতে পারি। যথা-
১. লেন্সটি উত্তল না অবতল: অবতল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ঋণাত্মক, সুতরাং এর ক্ষমতাও ঋণাত্মক হবে। সুতরাং লেন্সটি অবতল।
২. লেন্সের ফোকাস দূরত্ব: লেন্সটির ফোকাস দূরত্ব 1/2.5m = (40 cm) কাজেই লেন্সটি প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোক রশ্মিকে এমনভাবে অপসারী করে যেন মনে হয় এগুলো লেন্স থেকে 1/2.5m = (40 cm)  দূরে কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে।

Question:লেন্সের আলোক কেন্দ্র কী? 

কোনো আলোকরশ্মি যদি কোনো লেন্রেস পৃষ্ঠে আপতিত হয়ে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মির সমান্তরালে নির্গত হয় তাহলে সেই রশ্মি লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর যে বিন্দু দিয়ে যায় সেই বিন্দুকে লেন্সের আলোক কেন্দ্র বলে।

Question:তারারন্ধ্র কী? 

চোখের আইরিশের মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে। একে চোখের মণি বা তারারন্ধ্র বলে।