Question:বিভব কাকে বলে? 

অসীম দূরত্বের কোনো স্থান হতে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিদ্যুৎ একক ধনাত্মক চার্জ আনতে যে কাজ করতে হয় তা-ই হলো ঐ বিন্দুর বিভব।

Question:সমধর্মী চার্জিত দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী দূরত্ব কমালে বা বাড়ালে এদের বিকর্ষণ বলের পরিবর্তন হবে কি? ব্যাখ্যা কর। 

সমধর্মী চার্জে চার্জিত দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী দূরত্ব কমালে বা বাড়ালে এদের বিকর্ষণ বলের পরিবর্তন ঘটবে।
`q_1` ও `q_2` চার্জে চার্জিত বস্তুদ্বয় পরস্পর থেকে d দূরত্বে অবস্থান করলে এবং এদের মধ্যকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান F হলে,
কুলম্বের সূত্রানুসারে, `F prop (q_1q_2)/d_2`
`q_1, q_2` ধ্রুব থাকলে `F prop 1/d_2`
সুতরাং দূরত্ব কমালে বিকর্ষণ বল (বর্গের ব্যাস্তানুপাতে) বাড়বে, দূরত্ব বাড়ালে বিকর্ষণ বল কমবে।

Question:তড়িৎচালক শক্তি কী? 

কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তড়িৎচালক শক্তি বলে।

Question:’আবেশী ও আবিষ্ট আধান একটি অন্যটির বিপরীতধর্মী’ ব্যাখ্যা কর। 

আহিত বস্তু যে আধান তড়িৎ আবেশের মাধ্যমে পরিবাহকে আবেশ সৃষ্টি করে তাকে আবেশী আধান বলে এবং তড়িৎ আবেশের ফলে কোনো পরিবাহকে যে আধানের সঞ্চার হয় তাকে আবিষ্ট আধান বলে। আবেশ প্রক্রিয়ায় তড়িৎ আকর্ষণের কারণে আবিষ্ট বস্তুতে আধান সৃষ্টি হওয়ায় এবং পরস্পর বিপরীতধর্মী আধানের কারণে আকর্ষণ বলের সৃষ্টি হওয়ায় আবেশী ও আবিষ্ট আধান একটি অন্যটির বিপরীতধর্মী।

Question:তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে? 

কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে প্রবাহিত আধানকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।

Question:রূপার আপেক্ষিক রোধ `1.6xx10^(-8)Omegam` বলতে কী বোঝায়? 

কোনো পরিবাহীর একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের রোধকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে।
সুতরাং রূপার আপেক্ষিক রোধ `1.6xx10^(-8)Omegam` বলতে বোঝায় রূপার 1m দৈর্ঘ্যের ও `1m^2` প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের কোনো অংশের রোধ হবে `1.6xx10^(-8)Omega`।

Question:আবেশী আধান কাকে বলে? 

যে আধান কোনো অনাহিত পরিবাহীতে তড়িৎ আবেশের সৃষ্টি করে তাকে আবেশী আধান বলে।

Question:তড়িৎ বল উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর। 

দুটি সমধর্মী বা বিপরীতধর্মী আধানের মধ্যে যে বল ক্রিয়া করে তাকে তড়িৎ বল বা স্থিরতড়িৎ বল বলে। যেমন, একটি ধনাত্মক আধানে আহিত প্লাস্টিক দন্ডকে নাইলনের সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে একটি ঋণাত্মক আধানে আহিত পলিথিনের দন্ডকে এর নিকটে আনা হলে প্লাস্টিকের দন্ডটি পলিথিনের দন্ডের দিকে ঘুরে যাবে।  এ থেকে বুঝা যায়, আধান থাকার কারণে দুটি বস্তু পরস্পরের উপর বল প্রয়োগ করে যা তড়িৎ বল নামে পরিচিত।

Question:তড়িৎ তীব্রতা কী রাশি? 

তড়িৎ তীব্রতা ভেক্টর রাশি।

Question:তড়িৎধারক কীভাবে কাজ করে? 

েএকটি ব্যাটারিকে একটি তড়িৎধারকের দুটি আন্তরিত ধাতবপাতের সাথে সংযুক্ত করলে ব্যাটপারির ঋণাত্মক দন্ড থেকে ইলেকট্রন একটি পাতে প্রবাহিত হয় এবং এটি ঋণাত্মক আধানে আহিত হয়। ধারকের অন্য পাত থেকে েইলেকট্রন ব্যাটারির ধনাত্মক দন্ডে প্রবাহিত হয়, ফলে ঐ পাত ধনাত্মকভাবে আহিত হয়। তড়িৎধারকে েএভাবে কাছাকাছি স্থাপিত দুটি পরিবাহকের মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরক পদার্থ রেখে তড়িৎ আধানরূপে শক্তি সঞ্চয় করে রাখা হয়।