1. Question:৭. পেয়াজের কোষ পরীক্ষা করলে দেখা যায় কোষের মধ্যে একটি বড় ফাকা জায়গা রয়েছে। এ ফাকা জায়গাতে যে রস থাকে তাকে কোষ রস বলে। ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম কি? খ. মাইট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি ঘর বলা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটি যে কোষের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ঐ কোষের চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. কোষের প্রাণকেন্দ্র কোনটি? কেন একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়? 

    Answer
    ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম হলো কোষগহব্বর।
    
    খ. মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেক্টন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া 
    
        প্রভৃতি ঘটে থাকে। এসব বিক্রিয়ার সংঘটনের কারণে কোষের জৈবিক কাজ 
    
        সম্পাদনের সকল শক্তি এখানে উৎপন্ন হয়। এ জন্য মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের 
    
        শক্তিঘর বলা হয়।

    1. Report
  2. Question:৭. পেয়াজের কোষ পরীক্ষা করলে দেখা যায় কোষের মধ্যে একটি বড় ফাকা জায়গা রয়েছে। এ ফাকা জায়গাতে যে রস থাকে তাকে কোষ রস বলে। ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম কি? খ. মাইট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি ঘর বলা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটি যে কোষের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ঐ কোষের চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. কোষের প্রাণকেন্দ্র কোনটি? কেন একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়? 

    Answer
    ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম হলো কোষগহব্বর।
    
    খ. মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেক্টন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া 
    
        প্রভৃতি ঘটে থাকে। এসব বিক্রিয়ার সংঘটনের কারণে কোষের জৈবিক কাজ 
    
        সম্পাদনের সকল শক্তি এখানে উৎপন্ন হয়। এ জন্য মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের 
    
        শক্তিঘর বলা হয়।
    
     গ. উদ্ভিদ কোষের চিহিৃত চিত্র অঙ্কন করতে হবে।
    
     ঘ. ‍নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। কেননা নিউক্লিয়াস ছাড়া কোষ বেচে 
    
        থাকতে পারে না। এছাড়া নিউক্লিয়াস কোষের সকল প্রকার জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ
    
       করে। এ কারণে নিউক্লিয়াসকে কোষের নিন্ত্রয়ক বলা হয়। নিউক্লিয়াস অবস্থিত 
    
       ক্রোমোসোম অসংখ্য জিন থাকে, যারা জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক হিসেবে
    
       কাজ করে। জীবের নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে এদের যথেষ্ট ভৃমিকা রয়েছে।
    
      ক্রোমোসোম কোষের বৃদ্ধি বা যেকোন ক্রিয়া-বিক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
    
      সুতরাং কোষে নিউক্লিয়াস না থাকলে জীবের অস্তিত থাকত না, জীব হারাত
    
     তার বৈশিষ্ট্য এমনকি পৃথিবীতে নতুন কোনো জীবের জন্মও হতো না।

    1. Report
  3. Question:১. ক. সম্পূরক উদ্ভিদ কী? খ. বিটপ বলতে কী বোঝায়? গ. A ও B অংশের মধ্যে পার্থক্যগুলো উল্লেখ কর। ঘ. A ও B অংশের গুরুত্ব আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. যেসব উদ্ভিদের মূল, কান্ড ও পাতা থাকে এবং ফুল ফল ও বীজ হয় তাদেরকে 
    
        সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। 
    
     খ. উদ্ভিদের যে অংশগুলো মাটির উপরে থাকে তাদের একত্রে বিটপ বলে। বিটপে কান্ড,
    
         পাতা, ফুল ও ফল থাকে। কান্ডে পর্ব, পর্বমধ্য ও শীর্ষমুকুল থাকে। ফুলগুলো পাতার 
    
         কক্ষে উৎপন্ন হয়। ফলে বৃতি, দল, পুংকেশর ও গর্ভাশয় থাকে। আর এসব কিছুকে
    
         একত্রে বিটপ বলে।
    
     গ. চিত্রের চিহিৃত অংশ হলো কান্ড এবং চিহিৃত অংশ হলো মূল। নিচে এদের মধ্যকার পার্থক্য
    
         দেওয়া হলো-
    
         i. এটি শাখা-প্রশাখা ফুল,               i. এটি শুধুমাত্র শাখা-প্রশাখা বহন করে
    
            ফল, পাতা বহন করে।
    
         ii. এটি সাধারণত উধ্বগামী।            ii.  এটি সাাধারণত নিম্নগামী।
    
         iii. এতে পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে।         iii. এতে পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে না।
    
         iv. এটি সাধারণত সবুজ বর্ণের।        iv.  এটি সাধারণত বর্ণহীন।
    
         v. এর অগ্রভাগে শীর্ষমকুল থাকে।      v.  এর অগ্রভাগে শীর্ষমকুল থাকে না।
    
     
     ঘ. চিত্রে A হলো উদ্ভিদের কান্ড এবং B হলো মূল। উদ্ভিদের কান্ড ও মূলে গুরুত্ব 
    
         নিচে আলোচনা করা হলো-
    
         কান্ডের গুরুত্ব:
    
         i. কান্ড পাতা ফুল ও ফল এবং শাখা প্রশাখার ভার বহন করে। উদ্ভিদকে সোজা হয়ে
    
            থাকতে সাহায্য করে।
    
         ii. কান্ড শাখা-প্রশাখা ও পাতাকে আলোর দিকে তুলে ধরে হাতে সূর্যের আলোর দিকে
    
            তুলে ধরে যাতে সূর্যের আলো যথাযথভাবে পেতে সাহায্য করে।
    
         iii. পাতায় তৈরি খাদ্য কান্ডের মাধম্যে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
    
         iv. মাটি থেকে শোষিত পানি ও খনিজ লবন কান্ডের মাধ্যমে শাখা-প্রশাখা পাতা ফুল ফল
    
            এবং ফলে পেীছায়।
    
         v. শাল সেগুণ মেহগনি উত্যাদি উদ্ভিদের কান্ড থেকে মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়। যা দিয়ে
    
            আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।
    
         vi. অনেক কান্ড আমাদের রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- আদা, হলুদ।
    
    
          মূলের গুরুত্ব:
    
         i. মূল উদ্ভিদকে মাটির সাথে শক্ত করে আটকে রাখে ফলে ঝড়ের বাতাসে সহজে পড়ে যায় না।
    
         ii. মূল মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবন শোষণে সাহায্য করে।
    
         iii. খাদ্য হিসেবে আমরা বিভিন্ন ধরণের মূল খেয়ে থাকি। যেমন- মূলা শালগম গাজর ইত্যাদি।

    1. Report
  4. Question:২. প্রাপ্তি ও প্রমি ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা গ্রামে ঘুরতে বেড়িয়ে উদ্ভিদ ও কান্ডের বিভিন্ন ধরণের বিন্যাস বিশেষভাবে লক্ষ করে। এদের মধ্যে কোনোটির শাখা- প্রশাখার বিন্যাস মঠ আকৃতির আবার কোনটির গম্বুজ আকৃতির । এই কান্ডগুলোর আকৃতি ও কাজ সম্পর্কে জানতে তারা কেীতুহলি হয়ে উঠল। ক. মূল কাকে বলে? খ. আম গাছের পাতার ধরণ ব্যাখ্যা কর। গ. প্রাপ্তি ও প্রমির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদ কান্ডের কাজ বর্ণনা কর। ঘ. তুমি কীভাবে প্রাপ্তির ও প্রমির পর্যবেক্ষণকৃত কান্ডের শাখা-প্রশাখার বিন্যাসকে আলাদা করবে? ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. উদ্ভিদের যে অংশ পর্ব, পর্বমধ্য ও অগ্রমূকুলবিহীন তাকে মূল বলে।
    
     খ. আম গাছের পাতার ধরণ হলো সরল। এ কারণে আমের পাতাকে সরল পাতা বা 
    
        সরলপত্র বলা হয়। আম পাতার ফলকটি অখন্ডিত। এ পাতার মধ্যশিরাকে প্রধান 
    
        শিরা বলে। যা থেকে শিরা উপশিরা বের হয়ে আসে। আমপাতার কিনারা অখন্ডিত
    
        বা অসম্পৃন্নভাবে খন্ডিত থাকে।
    
     গ. প্রাপ্তি ও প্রমি মঠ আকৃতির ও গম্বুজ আকৃতির উদ্ভিদ কান্ড পর্যবেক্ষণ করেছিল ।
    
         নিচে এদের কাজ বর্ণনা করা হলো-
    
         মঠ আকৃতির কান্ডের কাজ:
    
         i. এধরণের কান্ড উদ্ভিদকে মাটির উপর দৃঢ়ভাবে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।
    
         ii. এটি পাতা ও শাখা-প্রশাখাকে উপরের ‍দিকে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
    
         iii. এধরণের কান্ড শাখা-প্রশাখা পাতা,ফুল, ও ফলের ভার বহন করে।
    
       গম্বুজ আকৃতির কান্ডের কাজ:
    
         i. এধরণের কান্ডের শাখা-প্রশাখাকে চারিদিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে।
    
         ii. এধরণের কান্ড প্রকৃতিতে বেশি ছায়া ও অক্সিজেন প্রদান করে।
    
         iii.  এটি শাখা-প্রশাখা পাতা ফুলও ফলের ভার বহন করে।
    
      
       ঘ. প্রাপ্তি ও প্রমি মঠ আকৃতির ও গম্বুজ আকৃতির কান্ড পর্যবেক্ষণ করেছিল। এদের শাখা বিন্যাসের
    
           ভিন্নতাকে নিম্নলিখিত ভাবে আলাদা করা যায়-
    
          i. মঠ আকৃতির কান্ডের নিচের শাখাগুলো বড় কিন্তু গম্বুজ আকৃতির কান্ডের নিচের শাখাগুলো 
    
            বেশ ছোট।
    
          ii. মঠ আকৃতির কান্ডের শাখা-প্রশাখাগুলো উপরের দিকে বৃদ্ধি পায় কিন্তু গম্বুজ আকৃতির 
    
             কান্ডের শাখা-প্রশাখাগুলো পার্শ্বে প্রসারিত হয়।
    
         iii.  মঠ আকৃতির কান্ডের উপরের শাখা-প্রশাখাগুলো ছোট, কিন্তু গম্বুজ আকৃতির কান্ডের উপরের 
    
             শাখা-প্রশাখাগুলো বেশ বড়।
    
         iv. মঠ আকৃতির কান্ডে শীর্ষ পর্যন্ত প্রধান কান্ডটি শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে যায় এবং উপরের 
    
             দিকে গিয়ে প্রধান কান্ডটিকে আর শনাক্ত করা যায় না।

    1. Report
  5. Question:৩.ক. কোন উদ্ভিদকে আর্দশ উদ্ভিদ বলা হয়? খ. পাতার প্রধান দুটি কাজ লেখ। গ. ‘ক’ অংশটির চিত্র একে এর বিভিন্ন অংশ চিহিৃত কর। ঘ. ‘ক’ অংশটির সাথে ধান গাছের মূলের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. আবৃতবীজি সুপুষ্পক উদ্ভিদকে আদর্শ উদ্ভিদ বলা হয়।
    
     খ. পাতার প্রধান দুটি কাজ হলো:
    
        i. সালোকসংশ্লেষণ প্রকিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করা এবং 
    
        ii. গ্যাসের আদান প্রদান করা।
    
     ঘ. চিত্র ‘ক’ চিহিৃত অংশটি হলো প্রধান মূল। ভ্রুণমূল বৃদ্ধি পেয়ে সরাসরি মাটির মধ্যে
    
        প্রবেশ করে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। এসব মূলকে স্থানিক মূল বলে। আর স্থানিক
    
        মূলেই প্রধান মূল থাকে। সুতরাং ‘ক’ অংশটি স্থানিক মূলের। অন্যদিকে ধান গাছের মূল
    
        হলো অস্থানিক গুচ্ছমূল।
    
        সাদৃশ: উভয় প্রকার মূল উদ্ভিদকে মাটির সাথে আটকে রাখতে সাহায্য করে এবং মাটি 
    
        থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও খনিজ লবন শোষন করে।
    
        বৈসাদৃশ্য: চিত্র ‘ক’ এর স্থানিক মূলটি ভ্রণমূল থেকে উৎপন্ন হয়ে সরাসরি মাটিতে প্রবশ করেছে।
    
        অন্যদিকে ধান গাছের মূল ভ্রণমূল থেকে উৎপন্ন না হয়ে কান্ড থেকে উৎপন্ন হয়েছে।

    1. Report
  6. Question:৪. মেী এর বাড়ির সামনে একটি ছোট জায়গা আছে। সেখানে সে পুই, শিম, মটরশুটি, লাউ, মরিচ ইত্যদি সবজির গাছ আবাদ করলেন। এদের মধ্যে কিছু কিছু গাছের জন্য তিনি মাচা তৈরি করলেন এবং জায়গাটিতে বেড়ে ওঠা ঘাস পরিস্কার করলেন। ক. পত্রকক্ষ কাকে বলে? খ. বৃন্তের কাজ ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে আলোচিত আগাছায় মূলের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ঘ. মেী-এর লাগানো উদ্ভিদগুলোর মধ্যে দুবর্ল কান্ডবিশিষ্ট উদ্ভিদগুলোর শ্রেণীকরণ কর। 

    Answer
    ক. কান্ডের সাথে পাতা কোন উৎপন্ন করে তাকে পত্রকক্ষ বলে।
    
     খ. বৃন্ত পত্রমূল ও ফলককে যুক্ত করে। এটা পত্রফলককে এমনভাবে ধরে রাখে, যাতে
    
         সবচেয়ে বেশি সূর্যের আলো পেতে পারে। এছাড়া কান্ড ও ফলকের মধ্যে পানি খনিজ
    
         লবণ ও তৈরি খাদ্য আদান-প্রদান করা বৃত্তের কাজ।
    
    
     গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আগাছা এর মূল অস্থানিক গুচ্ছ মূল। যেসব মূল ভ্রণমূল থেকে উৎপন্ন 
    
         না হয়ে কান্ড তা পাতা থেকে উৎপন্ন হয় তাকে অস্থানিক মূল বলে। এদের ঘাস জাতীয় 
    
         উদ্ভিদের  কান্ডের নিচের দিকে একগুচ্ছ সরু মূল সৃষ্টি হয়, এদের গুচ্ছমূল বলে। ভ্রণমূল
    
         নষ্ট হয়েও সে স্থানে গুচ্ছমূল উৎপন্ন হতে পারে।
    
     ঘ. মেী-এর লাগানো উদ্ভিদগুলোর মধ্যে দুর্বল কান্ড বিশিষ্ট উদ্ভিদগুলো হলো পুই, শিম, মটরশুটি
    
         ও লাউ। নিচে এদের শ্রেণীকরণ বর্ণণা করা হলো-
    
         দুর্বল কান্ডবিশিষ্টি উদ্ভিদের কান্ড খাড়াভাবে দাড়াতে পারে না। তাই মাটিতে বা মাচার উপর 
    
         বৃদ্ধি পায়। যেহেতু এদের কান্ড দুর্বল ও নরম। এদের কোনোটি লতানো, কোনোটি শয়ান 
    
         আবার কোনো আরোহী।
    
          ট্রেইলর বা শয়ান: যেসব কান্ড মাটির উপরে ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু পর্ব থেকে মূল বের হয় না।
    
          এদের ট্রেইলার বা শয়ান কান্ড বলে। উদ্দীপকের পুই, মটরশুটি ইত্যাদি এ ধরণের উদ্ভিদ।
    
          আরোহিণী:  যেসব কান্ড কোনো অবলম্বনকে আকড়ে ধরে উপরের দিকে বেড়ে ওঠে, তাদের 
    
          তাদের ক্লাইম্বার বা আরোহীণী বলে। উদ্দীপকে শিম ও লাউ এ ধরণের উদ্ভিদ।

    1. Report
  7. Question:৫. রহিম, করিম ও সাদেক ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র। বিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট অধ্যায়টি পড়ার পর তারা স্কুলের পিছনে কিছু উদ্ভিদ ও পাতা সংগ্রহ করল। রহিম একটি ধানগাছ করিম একটি সরিষা গাছ এবং সাদেক একটি গাছের পাতা সংগ্রহ করে। টিফিন প্রিয়ড্রে তারা এগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। ক. পাতা কাকে বলে? খ. যেীগিক পত্রের ২টি বৈশিষ্ট উল্লেখ কর। গ. রহিম ও করিমের সংগ্রহ করা উদ্ভিদ দুটির মূলে কী অমিল রয়েছে-ব্যাখ্যা কর। ঘ. সাদেকের সংগৃহিত অংশটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেসণ কর। 

    Answer
    ক. কান্ড বা তার শাখা-প্রশাখার পর্ব থেকে পাশের দিকে উৎপন্ন চ্যাপ্টা অঙ্গাণুকে 
    
        পাতা বলে।
    
     খ. যেীগিক পত্রের ২টি বৈশিষ্ট উল্লেখ করা হলো-
    
         i. যেীগিক পত্রে একাধিক অণুফলক থাকে।
    
         ii. যেীগিক পত্রের অনুফলকগুলো র‌্যাকিস এর উপর সাজানো থাকে।
    
     গ. রহিম সংগ্রহ করেছিল একটি ধান গাছ। এর মূল হলো গুচ্ছমূল। আবার করিম সংগ্রহ 
    
         করেছিল একটি সরিষা গাছ। এর মূল হলো স্থানিক মূল। ধানগাছের মূলে কোনো প্রধান 
    
         মূল থাকে না কিন্তু সরিষা গাছের মূলে প্রধান মূল থাকে। ধানের গুচ্ছমূল তুলনামূলকভাবে
    
         দুর্বল প্রকৃতির কিন্তু সরিষার স্থানিক মূল অনেকাংশেই সরল প্রকৃতির।
    
     ঘ. সাদেক সংগ্রহ করেছিল একটি উদ্ভিদের পাতা। পাতার অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম যেমন-
    
         i. লাউশাক, পুইশাক, পালং পাটশাক, কলমি শাক ইত্যাদি ছাড়াও আরো অনেক শাক রয়েছে।
    
            যা আমরা উদ্ভিদ থেকে পাই এবং প্রতিদিন খাদ্য হিসেবে গ্রহন করি।
    
        ii.  কলা তাল আনারস গাছের পাতা থেকে আঁশ পাওয়া যায়। এই আঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের 
    
           সেীখিন দ্রব্য তৈরি করা হয়।
    
        iii.  তালপাতা দিয়ে পাখা তৈরি করা হয়। গরমের দিনে তালপাতার পাখা প্রাই সকলেরই পছন্দ।
    
        iv.  বাসক নিশিন্দা কুচি, থানকনি, গাদা ইত্যাদি গাছের পাতা থেকে মূল্যবান ঔষুধ পাওয়া যায়। 
    
        v. এছাড়া চা গাছের কচি পাতা থেকে বানিজ্যিকভাবে চা প্রস্তুত করা হয় চা প্রস্তুুত করা হয়। চা
    
             রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মৃদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
    
        vi. তেজ পাতা মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং বাজারে তা বিক্রি হয়।
    
        উপরিউক্ত আলোচনার শেষে এ কথাই বলা হয় যে, দৈননিন্দ জীবনে পাতার অর্থনৈতিক গুরুত্ব 
    
         অনেক বেশি।

    1. Report
  8. Question:৬. ক. বিটপ কী? খ. A ও B অংশের কাজ লেখ। গ. A-অংশটি একে চিহিৃত কর। ঘ. মানব জীবনে উদ্ভিদের A ও B অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. উদ্ভিদের  যে অংশগুলো মাটির উপরের থাকে তাদের একত্রে বিটপ বলা হয়।
    
     খ. A হলো পাতা B হলো কান্ড।
    
        পাতার কাজ:
    
         i. খাদ্য তৈরি করা।
    
         ii. গ্যাসের আদান প্রদান করা।
    
        কান্ডের কাজ:
    
          i. কান্ড পাতা ও শাখা-প্রশাখার ভার বহন করে।
    
          ii. পাতায় প্রস্তুতকৃত খাদ্যে কান্ডের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
    
    
      ঘ. উদ্ভিদের জন্য A ও B অংশের অর্থাৎ পাতা ও কান্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। পাতা হলো 
    
          সালোকসংশ্লেষণ সংগঠনের স্থান। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় যে খাদ্য তৈরি করা হয় 
    
          তার ওপর সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীকূল নির্ভরশীল। এছাড়া পাতার মাধ্যমে বায়ুমন্ডল ও
    
           উদ্ভিদে CO2 ও O2 এর আদান প্রদান ঘটে। ফলে বায়ুতে এগুলোর ভারসাম্য বজায় 
    
           থাকে। এ ছাড়া পাতার মাধ্যমে গাছ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাস্প বের করে দেয় 
    
           ফলে বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। কান্ড বিভিন্ন রকমের হয়। তবে মানব জীবনের
    
           জন্য বিশেষ গুরুত্বপৃর্ন হলো বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের নরম কান্ড। যেমন আলু,
    
          আদা, প্রভৃতি আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। খেজুর ও আখের কান্ড হতে পাওয়া রস 
    
          উপাদেয় পানীয়। বড় বড় কান্ড থেকে আমরা ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র তৈরির কাঠ পেয়ে থাকি।
    
          পাট বা শনের কান্ড থেকে প্রাপ্ত অাশ দিয়ে দড়ি, ছালা কাপড় ইত্যাদি তৈরি হয়।
    
          উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, মানব জীবনে উদ্ভিদের A অংশটি অর্থাৎ ‍পাতা 
    
          এবং B অংশটি অর্থাৎ কান্ড গুরুত্বপৃর্ণ ভৃমিকা পালন করে।

    1. Report
  9. Question:৭.ক. র‌্যাকিস কাকে বলে? খ. আম গাছের পাতাকে আর্দশ পাতা বলা হয় কেন? গ. ‘ক’ অংশটির গঠন ও কাজ লেখ। ঘ. খ-অংশটির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পাতার শ্রেণীকরণ আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. অনুফলক বা পত্রলকগুলো যে দন্ডে সাজানো থাকে তাকে র‌্যাকিস বলে।
    
     খ. যে পাতায় পত্রমূল বৃন্ত ওপত্রফলক থাকে তাকে আর্দশ পাতা বলে। আমের 
    
        পাতায় উপরিউক্ত তিনটি অংশই বিদ্যমান। তাই তামের পাতাকে আর্দশ পাতা 
    
        বলা হয়। 
    
     গ. উদ্দীপকের ক চিহিৃত অংশটি হলো বৃন্ত বা বোটা। নিচে বৃন্ত বা বোটার গঠন কাজ 
    
         উল্লেখ করা হলো।
    
         বৃন্ত বা বোটা: পাতার দন্ডাকার অংশটিই হলো বৃন্ত বা বোটা। বৃন্ত পত্রমূল এবং 
    
         পত্রফলককে যুক্ত করে। অনেক উদ্ভিদের বৃন্ত খুব লম্বা হয়। যেমন- শাপলা, পদ্মা।
    
          আবার শিয়াল কাটার পাতায় কোনো বোটাই থাকে না।
    
         বৃন্ত বা বোটার কাজ:
    
          i. পত্রফলককে এমনভাবে ধরে রাখে যাতে বেশি সৃর্যের আলো পায়।
    
          ii. কান্ড ও ফলকের মধ্যে পানি ও খনিজ লবণ আদান-প্রদান করা।
    
          iii. পাতায় প্রস্তুতকৃত খাদ্যে আদান-প্রদান করা।
    
     ঘ. উদ্দীপকের খ অংশটি হলো পত্রফলক। পত্রফলকের বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে পত্রকে 
    
         প্রধাণত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ১. সরল পত্র ও ২ যেীগিক পত্র
    
         সরল পত্র: পত্রবৃন্তের উপরে একটি মাত্র ফলক থাকলে তাকে সরল পত্র বলে।
    
         আম, জাম, বট প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতা সরল পত্র।
    
         যেীগিক পত্র: যে পত্রের ফলকটি সম্পৃর্ণভাবে খন্ডিত হয় খন্ডিত অংশগুলো পরস্পর 
    
         হতে আলাদাভাবে অণুফলক সৃষ্টি করে তাকে যেীগিক পত্র বলে। যেমন- গোলাপ, নিম
    
         ইত্যাদি উদ্ভিদের যেীগিক পত্র।

    1. Report
  10. Question:সোহান ও বিপ্লব স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তা দিয়ে হেটে আসার সময় সোহান ছোট তেতুল গাছের একটি ডাল ভাঙ্গল। এটা দেখে বিপ্লব বলল আমাদের উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। ক. পাতা কত প্রকার? খ. পত্রমূল বলতে কী বোঝায়? গ. সোহানের ভাঙ্গা গাছের পত্র যেীগিক পত্র-ব্যাখ্যা কর। ঘ. সোহানের উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. পত্রফলকের বৈশিষ্টের ভিত্তিতে পাতা প্রধাণত ২ প্রকার।
    
     খ. পাতার যে অংশ কান্ড বা শাখা-প্রশাখার গায়ে যুক্ত থাকে তাকে পত্রমূল বলে।
    
         কোনো উদ্ভিদের পত্রমূল স্ফীত হয়। আবার কোনো কোনো উদ্ভিদের পত্রমূল 
    
         কান্ডকে আংশিকভাবে বেষ্টন করে রাখে। এছাড়া কোনো কোনো উদ্ভিদের পত্রমূলের
    
         পাশ হতে পাতার ন্যায় অংশ বা উপপত্র বের হয়।
    
     গ. উদ্দীপকে সোহান ছোট একটি তেতুল গাছের ডাল ভাঙ্গে। তেতুল গাছের পাতা পর্যবেক্ষণ 
    
        করলে কতকগুলো বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যেমন-
    
        i. পাতায় অনেকগুলো ফলক রয়েছে।
    
        ii. পাতার ফলকগুলো সম্পৃর্নভাবে পৃথক।
    
        iii. পাতায় মধ্যশিরার পরিবর্তে অক্ষ বিদ্যমান।
    
        iv. পাতার কক্ষে মূকুল অনুপস্থিত।
    
        উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যসমৃহ যেীগিক পত্রে দেখা যায়। তাই বলা যায় সোহানের ভাঙ্গা
    
         গাছের পাতা যেীগিক।
    
     ঘ. উদ্দীপকে বিপ্লব উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়ার কথা বলেছে। আমাদের 
    
         চারপাশের পরিবেশে বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। সু্স্থ ও সুন্দরভাবে বেচে 
    
         থাকার জন্য এসব উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। কারণ আমরা গাছ থেকে 
    
         বেচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন খাদ্য জ্বালানি বাসস্থান নিমার্ণের সামগ্রী ঔষধ
    
        প্রভৃতি পেয়ে থাকি। এটি পৃথিবীর জলবায়ু সংরক্ষনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এছাড়া
    
        গাছ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন-বন্যা, খরা, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছাস প্রভৃতি হতে রক্ষা
    
        করে। আবার বিভিন্ন ধরণের গৃহপালিত পশু পাখি যেমন-হাস, মুরগি, গুরু ছাগল প্রভুতি
     
        হতে রক্ষা করে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, পৃথিবীকে সুন্দর বাসযোগ্য 
    
        রাখতে এবং নিজেদের বেচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়া
    
        একান্ত আবশ্যক।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd