1. Question:৬.ক. অপুস্পক উদ্ভিদ কিসের মাধ্যমে প্রজনন সম্পন্ন করে। খ. আবৃতবীজি উদ্ভিদ ফলের ভেতর বীজ আবৃত আবস্থায় থাকে কেন। গ. A ও B এর মধ্যে পাথক্য উল্লেখ কর। ঘ. A উদ্ভিদটি খাদ্য তৈরি করতে পারে কিন্তু B পারে না কথাটি যথার্থতা মূল্যায়ন কর। 

    Answer
    ক. অপুস্পক উদ্ভিদ স্পোর বা রেণুর মাধ্যমে প্রজনন সম্পন্ন করে।
    
     খ. আবৃতবীজি উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে। ডিম্বকগুলো ডিম্বাশয়ের ভেতরে থাকে।
    
         নিষকের পর ডিম্বক বীজে এবং ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। এ কারণে আবৃতবীজী
    
         উদ্ভিদের ফলের ভেতর বীজগুলো আবৃত অবস্থায় থাকে।
    
     গ. চিত্রের A হলো শৈবাল এবং B হলো ছত্রাক। নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
    
        ১. দেহে ক্লোরোফিল থাকায় এরা সবুজ।    ১. দেহে ক্লোরোফিল না থাকায় এরা বর্ণহীন।
    
        ২. ক্লোরোফিল থাকায় নিজেদের খাদ্য       ২. ক্লোরোফিল না থাকায় নিজেদের খাদ্য
    
           নিজেরা তৈরি করতে পারে।                  নিজেরা তৈরি করতে পারে না।
    
        ৩. এদের বাসস্থান সাধারণত পানি।         ৩.  এরা সাধারণত পানিতে বাস করে না।
    
        ৪. এরা আলো ছাড়া বাচতে পারে না।       ৪. এরা আলো ও অন্ধকার উভয় পরিবেশে 
    
                                                         বাচতে পারে ।
    
        ৫. এদের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ              ৫. এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি।
    
           দিয়ে তৈরি।
    
      ঘ. উদ্দিপকের A ও B উদ্ভিদ হওয়া সত্বেও উভয়েই খাদ্য তৈরি করতে পারে না। আমরা জানি 
    
         কেবলমাত্র সবুজ উদ্ভিদই ক্লোরোফিল ও আলোর উপস্থিতিতে কার্বন ডাইক্সাইড ও পানির 
    
         সহায়তায় সালোকসংশ্লেষণের মা্যেমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে। চিত্রের A
    
         উদ্ভিদটি হলো সবুজ শৈবাল। এর দেহে ক্লোরোফিল রয়েছে। সুতরাং A উদ্ভিদটি আলোর 
    
         উপস্থিতিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানির সহায়তায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য 
    
         তৈরি করতে পারে। কিন্তু B উদ্ভিদটি হলো ছত্রাক। এর দেহে কোনো ক্লোরোফিল নেই।
    
         ক্লোরোফিল না থাকার কারণে এ উদ্ভিদটি সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করতে 
    
         পারে না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, A উদ্ভিদটি খাদ্য তৈরি করতে পারলেও B উদ্ভিদটি 
    
         পারে না।

    1. Report
  2. Question:৭. তমা শিক্ষকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মস, ফার্ন শৈবাল ছত্রাক পভৃতি ক্ষুদ্র উদ্ভিদ দেখে সে অবাক হলো এবং দেখল এদের কোনোটাইর ফুল, ফল নেই। সে স্যারকে জিজ্ঞাসা করল এ সকল উদ্ভিদ কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে। স্যার বলল স্পোর বা রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে। ক. ফল কাকে বলে? খ. আদি উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট লিখ। গ. তমার দেখা উদ্ভিদগুলো কোনটি কোন জগতে ব্যাখ্যা কর। ঘ. তমার স্যার বংশবৃদ্ধির যে পদ্ধতির কথা বলেছে তা কতটুকু যথার্থ তা ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. নিষিক্ত ও পরিপক্ক গর্ভাশয়কে ফল বলে।
    
     খ. আদি উদ্ভিদের ২ টি বৈশিষ্ট হলো :
    
      এদের খালি চোখে দেখা যায় না।
    
      এরা এককোষী বা অকোষীয়।
    
     গ. উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাসে সমগ্র পৃথিবীর উদ্ভিদকে ৪টি রাজ্যে, স্থান দেওয়া হয়েছে। 
    
         রাজ্য ৪টি হলো মনেরা, প্রোটিস্টা, ফানজাই, প্লান্টি। তমার দেখা উদ্ভিদগুলো হচ্ছে মস,
    
         ফার্ন, শৈবাল, ছত্রাক। প্লান্টি জগতের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট হলো এরা স্বভোজী, এদের 
    
         কোনটির পরিবহন টিস্যু আছে ও এদের দেহে সালোকসংশ্লেষণকারী বর্ণ কণিকা আছে।
    
         প্লান্টি জগতের বৈশিষ্ট থেকে দেখা যায় যে, তমার দেখা উদ্ভিদগুলোর মধ্যে মস ফার্ন 
    
         প্লান্টি জগতের মধ্যে পড়ে।
    
    ঘ. তমার দেখা উদ্ভিদগুলো হলো মস, ফান, শৈবাল, ছত্রাক। এরা সকলেই অপুস্পক উদ্ভিদ। 
    
        অপুষ্পক উদ্ভিদের যেহেতু ফুল হয় না। তাই এসব অপুষ্পক উদ্ভিদেরা তাদের দেহে স্পোর 
    
        উৎপন্ন করে। এসব স্পোর অনুকূল পরিবেশে মাটিতে পড়ে অঙ্ককুরিত হয়ে নতুন একটি 
    
        উদ্ভিদ সুষ্টি করে। যেহেতু তমার দেখা উদ্ভিদগুলো স্পোরোফাইট ও গ্যামোটোফাইট যুক্ত
    
        উদ্ভিদ। তাই এরা স্পোর উৎপাদনের মাধ্যমেইকেবল বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। অন্য কোনো
    
        পদ্ধতিতে এদের বংশ বৃদ্ধি অসম্ভব। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে,
    
        তমার স্যারের উক্তিটি যথার্থ ছিল।

    1. Report
  3. Question:৮. ক. রাইবোজোম কোন রাজ্যের জীব? খ. c চিত্রের প্রাণীটি যে শ্রেণীভুক্ত তার প্রধান ৪টি বৈশিষ্ট উল্লেখ কর। গ. A ও B এর প্রধান ৩টি পার্থক্য উল্লেখ কর। ঘ. প্রাণী জগতে A প্রাণীটির শ্রেষ্টত্ব বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. রাইবোজোম মনেরা রাজ্যের জীব।
    
     খ. C চিত্রের প্রাণীটি মৎস শ্রেণীভুক্ত। এই শ্রেণীর ৪টি বৈশিষ্ট হলো-
    
        i. এ শ্রেণীভুক্ত প্রাণীরা পানিতে বাস করে।
    
        ii. এদের অধিকাংশ প্রাণীর দেহ আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে।
    
        iii. এরা ফলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
    
        iv. এদের পাখনা আছে, পাখনার সাহায্যে এরা সাঁতার কাটে।
    
    
     গ. চিত্র হলো মানুষ এবং হলো কেচো। নিচে প্রাণী দুটির প্রধান ৩টি পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
    
        i. এটি মেরুদন্ডী প্রাণী।         i.  এটি অমেরুদন্ডী প্রাণী।
    
        ii. দেহের ভিতর কঙ্কাল আছে।  ii. দেহের ভেতর কঙ্কাল নেই।
    
    
    ঘ. প্রাণী জগতে প্রাণীটির অর্থাৎ মানষের শ্রেষ্টত্ব নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-র্
    
       পৃথিবীতে মানষের চেয়ে অনেক বড় বড় প্রাণী রয়েছে। যেমন-হাতি ঘোড়া, গরু ইত্যাদি।
    
       বুদ্ধি বলে মানুষ এসব প্রাণীদেরকে নিজের কল্যাণে ব্যবহার করছে। প্রাণী জগতে মানুষের 
    
       শ্রেষ্টত্বের মূলে আরো যেসব কারণ রয়েছে সেগুলো হলো-
    
       i. মানুষ তার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে।
    
       ii. শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
    
       iii. সর্বোপরি মেরুদন্ড থাকার কারণে শ্রেষ্ট প্রাণী হিসেবে নিজেদেরকে মাথা উচু করে 
    
           দাড় করাতে হবে।

    1. Report
  4. Question:রুই, কাতলা, ইলিশ, ব্যাঙ, বোয়াল, শিং, মাগুর, সাপ, টিকটিকি, কুমির, কাক, কোকিল, ময়না, টিয়া, ছাগল, ঘোড়া, ঈগল প্রভুতি হচ্ছে আমাদের নিকট পরিবেশের মেরুদন্ডী প্রাণী। এদের দেহে মেরুদন্ড বিদ্যমান। ক. মেরুদন্ড কী? খ. পক্ষীকূল শ্রেণীভুক্ত প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট লেখ। গ. উপরিউক্ত প্রাণীগুলোর মধ্যে কোনটি কোন শ্রেণীভুক্ত তা শনাক্ত করে লেখ। ঘ. উক্ত প্রাণীগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন শেণীতে বিভক্ত করার কারণ বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. প্রাণীর ঘাড় থেকে শুরু করে কোষের শেষ পর্যন্ত পিঠের মাঝখানে বরাবর 
    
         শক্ত লম্বা হাড়ের দন্ডকে মেরুদন্ড বলে। 
    
     খ. পক্ষীকূল শ্রেণীভুক্ত প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট হলো-
    
         i. এদের দেহ প্রাণী দ্বারা আবৃত থাকে।
    
         ii. এরা ডিম পারে এবং ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
    
     গ. উদ্দিপকের প্রাণীগুলোর নাম উল্লেখপূর্বক তাদের শ্রেণীকরণ নিচে ছকের মধ্যে 
    
         উল্লেখ করা হলো-
    
         প্রাণীর নাম:                 শ্রেণী:                 শনাক্তকরণ
    
    
        ১. রুই, কাতলা, ইলিশ,       মৎস                 এরা পানিতে বাস করে
    
          বোয়াল, শিং মাগুর।         শ্রেণীভুক্ত             এবং বেশির ভাগের গায়ে
    
                                                              আঁইশ থাকে।
    
    
    
       ২. ব্যাঙ                       উভচর                 এরা জীবনের কিছু সময়
    
                                      শ্রেণীভুক্ত               ডাঙ্গায় এবং কিছু সময় 
    
                                                              পানিতে বাস করে।
    
      ৩. সাপ, টিকটিকি,              সরীসৃপ               এরা বুকে ভর দিয়ে
    
         কুমির                         শ্রেণীভুক্ত              চলে।
    
      
      ৪. কাক, কোকিল,              পক্ষী                  এদের দেহে পালক
    
          ময়না, টিয়া,               শ্রেণীভুক্ত                দ্বারা আবৃত থাকে।
    
     
    
      ৫. ছাগল, ঘোড়া              স্তন্যপায়ী                এদের দেহে লোম থাকে
    
                                     শ্রেণীভুক্ত                এবং মায়েরা বাচ্চা প্রসব
    
                                                               করে। বাচ্চারা মায়ের দুধ
    
                                                               পান করে।
    
    
     ঘ. উদ্দীপক উল্লিখিত প্রাণীগুলোকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত।
    
         কারণ এদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে পৃথকভাবে কারও একার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে 
    
         উল্লিখিত প্রাণীগুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রত্যেকই প্রয়োজন। এজন্য প্রাণীগুলোর 
    
         পারস্পরিক সম্পর্ক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্টের মিল ও অমিলের ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মত
    
         উপায়ে প্রাণীগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে খুব কম সময়ে ও সহজেই
    
         প্রাণীগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

    1. Report
  5. Question:১০. বিজ্ঞানের ক্লাসে স্যার সুমনকে বলল পৃথিবীতে অনেক জীব আছে। যাদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট মিল রয়েছে। পাখি, মানুষ, গাছ, ফড়িং, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি জীব। এদের মধ্যে কেউ স্বভোজী, কেউ পরভোজী কেউ চলতে পারে কেউ চলতে পারে না। ক. জীব কাকে বলে ? খ. জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের চলনজীব ও স্থিরজীবের পার্থক্য লেখ। ঘ. বিজ্ঞানের স্যার যেসব পরভোজী জীবের কথা বলেছেন তাদের পরভোজীর কারণ ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে।
    
     খ. জীবের জীবন আছে। জীবন থাকার জন্যই জীব বংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
    
        জীবন না জীবের দেহে শ্বসন, প্রজনন, রেচন, বৃদ্ধি প্রভৃতি ঘটত না। তাই বলা 
    
        যায়, জীবন জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট

    1. Report
  6. Question:১১. আধুনিক শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে জীবজগতকে মোট কয়টি রাজ্যে ভাগ করা হয়েছে। শ্রেণীগুলো দেখাও- ক. জীবের শ্রেণীকরণ কাকে বলে? খ. জীব খাদ্য গ্রহন করে কেন-ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের ৪র্থ ও ৫ম মধ্যে ৩টি পার্থক্য উল্লেখ কর। ঘ. শ্রেণীকরণের ৫ম রাজ্যের উপর নির্ভরশীল-বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    আধুনিক শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে জীবজগতকে মোট ৫টি  রাজ্যে ভাগ করা হয়েছে।
    
      শ্রেণীগুলো নিচে দেওয়া হলো-
    
      ১. মনেরা   ২. প্রোটিস্টা   ৩. ফানজাই  ৪. প্লান্টি    ৫. এ্যানিমেলিয়া
    
      ক. কম সময়ে সহজে জীবজগত সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য বর্তমানে ও
    
         অতীত সব জীবকে যে পদ্ধতিতে সাজানো হয় তাকে জীবের শ্রেণীকরণ
    
         বলা হয়।
    
     খ. খাদ্য গ্রহণ জীবের এক অন্যন্য বৈশিষ্ট্য। বেচে থাকার জীবকে অবশ্যই
    
         খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য ছাড়া কোনো জীবই বাচাতে পারে না।
    
         শুধু তাই নয়-খাদ্য গ্রহণের পর তা হজম হয়ে জীবদেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণের 
    
         সাহায্য করে এবং জীবদেহে শক্তি তৈরি হয়। এ শক্তি জীবের বিভিন্ন জৈবিক
    
         কাজ সম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যা জীবকে সুস্থভাবে বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য 
    
         করে।

    1. Report
  7. Question:১. দীপ্তি বাবার সাথে ঢাকায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। গার্ডেনে সে বিভিন্ন বর্ণের গাছপালা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সে পাশ্ববর্তী চিড়িয়াখানায় যায়। সেখানে সে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পায়। ক. নিউক্লিয়াস কি ? খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কোনটি ? ব্যাখ্যা কর। গ. দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলোর বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার কারণ কী ? ব্যাখ্যা কর। ঘ. দীপ্তির দেখা জীবগুলোর কোষীয় বৈশিষ্ট্য তুলনা কর। 

    Answer
    ক. জীব কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তুটিকে নিউক্লিয়াস বলে।
    
     খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। কোষের সকল জৈবিক কাজ 
    
         পরিচালনার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন হয় তা মাইটোকন্ডিয়াই সরবরাহ করে থাকে। এ কারণে
    
         মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়।
    
     গ. প্লাস্টিডের উদ্ভিদের বর্ণ বিচিত্রতা দিয়ে থাকে। সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডগুলোকে ক্লোরোপ্লাস্টের 
    
         পরিমাণ বেশি থাকে তখন উদ্ভিদটিকে সবুজ দেখায়। সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্যন্য বর্ণ লাল, হলুদ
    
         কমলা ইত্যাদি বিশিষ্ট প্লাস্টিক কোনো রং ধারণ করে না সেগুরলা বর্ণহীন প্লাস্টিড। সাধারণত মূলে 
    
         থাকে। সুতরাং দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত কিছু উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিমাণ বেশি ছিল বলে 
    
         সেগুলো সবুজ ছিল। কিছু উদ্ভিদ কোষে ক্লোমোপ্লাস্টের পরিমাণ অধিক ছিল বলে উদ্ভিদগুলোকে
    
         লাল বা কমলা দেখাচ্ছিল। অর্থাৎ উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন প্লাস্টিডের অধিকাংশই উদ্ভিদগুলোর বিভিন্ন
    
         বর্ণ ধারণ করার একমাত্র কারাণ।
    
    
     ঘ. দীপ্তি বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে বিভিন্ন বর্ণের উদ্ভিদ দেখেছিল। আবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে বিভিন্ন
    
         প্রাণী দেখেছিল। সুতরাং দীপ্তির দেখা জীবগুলো হলো-উদ্ভিদ ও প্রাণী। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় 
    
         বৈশিষ্টগুলো তুলনা করা হলো-
    
         i. উদ্ভিদকোষের বাইরে জড় কোষপ্রাচীর থাকে কিন্তু প্রাণীদেহের কোনো কোষপ্রাচীর থাকে না।
    
         ii. উদ্ভিদকোষের প্লাস্টিড দেখা যায় যা প্রাণীকোষে দেখা যায় না।
    
         iii. উদ্ভিদকোষের কোষগহব্বর বেশ বড় কিন্তু প্রাণীকোষের কোষগহব্বর আকারে অত্যন্ত ছো্ট।
    
         iv. উদ্ভিদকোষের সঞ্চিত খাদ্য স্টার্চ এবং প্রাণীকোষের সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজন।
    
         v. উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষই মসৃণ ও অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা থাকে।
    
         vi. উদ্ভিদকোষে সেন্ট্রোসোম অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণিকোষে উপস্থিত।
    
         vii. উভয় কোষেই গলজি অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণিকোষে এর পরিমাণ বেশি এবং উদ্ভিদকোষে কম।

    1. Report
  8. Question:৩.ক. কোষ আবিস্কার করেন কে? খ. আদিকোষ বলতে কি বুঝায়? গ. চিত্র-১ ও ‍চিত্র-২ এর মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ অঙ্গগাণুগুলো চিহিৃত করে এর কাজ উল্লেখ কর। ঘ. উভয়ের প্রানকেন্দ্র তাদের সকল জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণে কী ভূমিকা রাখে? বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. ইংরেজ বিজ্ঞাণী রবার্ট হুক কোষ আবিস্কার করেন।
    
     খ. যে কোষের নিউক্লিয়াস কোনো আবরণী দ্বারা আবদ্ধ নয় তাকে আদি কোষ বলে।
    
         ব্যাকটেরিয়ার কোষ একটি আদিকোষ।
    
     গ. চিত্র-১ একটি প্রাণীকোষের চিত্র এবং চিত্র-২ উদ্ভিদকোষের চিত্র। দুটি চিত্রেই সাদৃশ্যপূর্ণ 
    
         অঙ্গাণুগুলো হলো যথাক্রমে কোষঝিল্লি প্রোটোপ্লাজম, সাইট্রোপ্লাজম, কোষ গহব্বর ও
    
         ‍নিউক্লিয়াস। নিচে এদের কাজের বর্ণনা দেওয়া হলো-
    
         কোষ ঝিল্লি: এটি কোষের ভিতর ও বাইরের মধ্যে পানি, খনিজ পদার্থ ও গ্যাসের চলাচল
    
          নিয়ন্ত্রন করে।
    
         প্রোটোপ্লাজম : একে জীবনের ভিত্তি বলা হয়। এটি কোষ ঝিল্লি, সাইট্রোপ্লাজম ও ‍নিউক্লিয়াস
    
          কোষ ধারণ করে।
    
         সাইট্রোপ্লাজম : এর প্রধান কাজ হলো কোষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গাণুগুলো ধারণ করা।
    
         কোষ গহব্বর : কোষ গহব্বর কোষ রসের আধার হিসেবে কাজ করে এবং কোষের উপর 
    
         কোনো  চাপ এলে তা নিয়ন্ত্রন করে।
    
         নিউক্লিয়াস : এটি কোষের সব শরীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
    
     ঘ. চিত্রের উভয়ই কোষের প্রাণ কেন্দ্র হলো নিউক্লিয়াস। অঙ্গাণুটি কোষের সমস্ত জৈবিক কাজের
    
        নিয়ন্ত্রক। নিচের এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হলো- নিউক্লিয়াস এর নিউক্লিওপ্লাজম নিউক্লিয়াসের 
    
        তথা জীবের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে সাহায্য করে। এনজাইমের কার্যকলাপের মূল ক্ষেত্র ‍হিসেবে
    
        ব্যবহৃত হয়। নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওয়াস বিভিন্ন প্রকার সংগ্রহ করে, প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সরক্ষণ 
    
        করে এবং নিউক্লিওটাইমের ভান্ডার  হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ক্লোমার্টিন অন্তু মিউটেশন, 
    
        প্রকরণ  সৃষ্টিতে ভূৃমিকা পালন করে। এটি কোষের অন্যন্য অঙ্গাণুর কাজের নিদের্শ দেয় ও
    
        বাধা দেয়। অতএব বলা যায়, নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত জৈবিক  কাজের নিয়ন্ত্রক।

    1. Report
  9. Question:৪. বিজ্ঞান শিক্ষক তানভীর আহমদ সাহেব কোষের গঠনের উপর ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি বললেন জীবদেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি তিনি একটি প্রাণীকোষের চিহিৃত চিত্র আকলেন এবং কোষপ্রচীর প্রোটোপ্লাজম কোষ ঝিল্লি, সাইট্রাপ্লাজম ও কোষ গহব্বরের ব্যাখ্যা করলেন। ক. কে কোষ আবিস্কার করেন? খ. মাইকোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বলা হয় কেন? গ. শিক্ষক যে কোষ আকলেন তার চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. শিক্ষক যেসব অঙ্গাণু উল্লেখ করেছেন তাদের কাজ বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. লিউয়েন হুক কোষ আবিস্কার করেন।
    
    খ. শক্তি উৎপাদনের সকল বিক্রিয়া মাইটোকন্ডিয়ার অভ্যন্তরে ঘটে থাকে।
    
        এর ভেতরে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে জীব তার সব ধরণের জৈবিক
    
         কাজ কর্মে পরিচালনা করে। তাই মাট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন 
    
         বলা হয়।
    
     গ. শিক্ষক যে কোষ আকলেন সেটি হলো প্রাণী কোষ। 
    
     ঘ. শিক্ষক যেসব অঙ্গাণু উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো: কোষপ্রাচীর, প্রোটোপ্লজম,
    
        কোষঝিল্লি, সাইট্রোপ্লাজম ও কোষ গহব্বর। নিচে তাদের কাজ বিশ্লেষণ করা হলো:
    
        কোষ প্রাচীর কোষের কোষের আকৃতি দান করে, কোষকে বাইরের আঘাত থেকে 
    
        রক্ষা করে, প্রয়োজনীয় দৃঢতা প্রদান করে এবং কোষের ভেতর বাইরের তরল পদার্থের 
    
        যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোটোপ্লাজমে অবস্থিত কোষ ঝিল্লি এবং সাইটোপ্লাজম কোষের
    
       ভেতর বাইরে বিভিন্ন দ্রব্য আদান প্রদান ও পরিশোধণ করে। এছাড়া বিভিন্ন ধারণ এবং 
    
       কোষ দেহকে আকার প্রদান করে। কোষ গহব্বরের কাজ হলো কোষ রস ধারণ করা এবং 
    
       পানির সমতা রক্ষা করা। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, শিক্ষকের আলোচিত 
    
       অঙ্গাণুসমৃহ জীবদেহের জন্য অত্যন্ত গূরুত্বপৃর্ণ।

    1. Report
  10. Question:৫.ক. ক্লোরোপ্লাস্ট কী? খ. প্রোটোপ্লাজমকে জীবের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন? গ. চিহিৃত অংশটি কোষে না থাকলে কী হতো ব্যাখ্যা কর। ঘ. চিত্রের চিহিৃত অংশটি উক্ত কোষের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য বহন করে আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. প্লাস্টিড যখন সবুজ বর্ণের ক্লোরোফিল অধিক পরিমাণ ধারণ করে তখন তাকে 
    
        ক্লোরোপ্লাস্ট বলে।
    
    খ. প্রোটোপ্লাজম উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের সকল জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।
    
        সাইট্রেপাপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে
    
        সাইট্রোপ্লাজম নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে বলে 
    
        প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
    
     গ. চিত্রে চিহিৃত অংশ হচ্ছে কোষের মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র ফ্যাটি এসিড চক্র, 
    
        ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে কোষের যাবতীয় শক্তি 
    
        উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ অঙ্গাণু থেকে কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি সরবরাহ
    
        হয়ে থাকে বলে একে পাওয়ার হাউস বলা হয়। এছাড়া মাইট্রোকন্ডিয়া নিজস্ব
    
        উৎপাদন ও স্নেহ বিপাকে সাহায্য করে থাকে। মূলত এ অংশটি ব্যতীত কোষের
    
        শক্তি উৎপাদন হতো না। ফলের কোষের জৈবিক কার্যাবলি বন্ধ হয়ে যেত এবং 
    
        ফলশুতিতে কোষ মারা যেত। এমনকি জীবদেহের অস্বিত্ব বিলিন হয়ে যেত।
    
     ঘ. চিত্রের চিহিৃত অংশটি কোষের প্লাস্টিড। ক্লোরোপ্লাস্টের প্লাস্টিড কোষের 
    
         বর্ণনা হিসেবে কাজ করে। এ অঙ্গাণুটির উপস্থিতির ফলে উদ্ভিদের পাতা ফুল
    
         ফল ইত্যাদি বিভিন্ন রংঙের হয়। কোনো রংঙের প্লাস্টিড যখন যে রং অধিক পরিমাণে 
    
         ধারণ করে তখন বাইরে থেকে সে অঙ্গাণুটিকে ঐ রং দেখায়। প্লাস্টিড যখন সবুজ
    
         রং অনেক পরিমাণে ধারণ করে তখন তাকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। প্লাস্টিড যখন অন্যন্য
    
         রং যেমন- লাল, হলুদ, বা নীল রং অধিক পরিমাণে ধারণ করে তখন তাকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে।
    
         অর্থাৎ ক্লোরোপ্লাস্টের উপস্থিতির কারণে

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd