Note: ভাড়া হিসাবে ৭,৫০০ টাকা ডেবিট জের থাকা মানে বুঝায় যে উক্ত সময়ে ভাড়া খরচ হিসাবে ৭,৫০০ টাকার পুরোটাই সংশ্লিষ্ট হিসাব কালের বলে গণ্য হবে না। এর মধ্যে থেকে ২,৫০০ টাাক পরবর্তী বৎসরের জন্র বাদ দিয়ে এ বছর ৫,০০০ টাকা হিসাবভূক্ত করতে হবে। ফলে ভাড়া খরচ থেকে অগ্রীম ভাড়া বাদ দিতে হলে ভাড়া খরচকে ক্রেডিট করতে হবে এবং অগ্রীম ভাড়া এ বছরের সম্পত্তি বলে গণ্য হওয়ার অগ্রীম ভাড়া হিসাব ডেবিট করতে হবে।

Note: কু-ঋণ হিসাব ডেবিট দ্বারা বুঝায় কু-ঋণ বাবদ খরচ সমন্বয় হয়েছে এবং কু-ঋণ সঞ্চিতি হিসাব ক্রেডিট দ্বারা বুঝায় কু-ঋণের বিপরীতে ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের সমন্বয় দাখিলা দেয়া হজয় কু-ঋণ সঞ্চিতি সমন্বয় করার জন্য।

Note: বকেয়অ মজুরী সমন্বয় লিখনের জাবেদা হল- মজুরী হিসা ডেবিট, টু বকেয়া বা দেয় মজুরী হিসাব। কারণ মজুরী (খরচ) বকেয়া থাকলে দায় বৃদ্ধি পায়। আর মজুরী খরচ ব্যয় হওয়ার খরচ বা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ফলে মজুরী খরচ হিসাব ডেবিট করতে হয়।

Note: হিসাব চক্রের ধারাবাহিক পদ্ধতিতে হিসাব রাখা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট হিসাবকালের কিছু অর্জিত আয় ও সংঘটিত ব্যয় হিসাবভুক্ত করা হয় না। ফলে িএ ধরনের অসমন্বিত হিসাবসমূহ সমন্বয় করার প্রয়োজন হয়। আর এদের সমন্বয় লিখন সর্বদা কম পক্ষে আয় বিবরণীর একটি হিসাব এবং উদ্বর্তপত্রের একটি হিসাবকে প্রভাবিান্বিত করে। কারণ এদর সমন্বয় লিখন দ্বারা আয় অথবা ব্যয় হ্রাস/বৃদ্ধি করে এবং সম্পত্তি অথবা দায় হ্রাস/বৃদ্ধি করলে উদ্বর্তপত্র প্রভাবিত হয়।

Note: ক,- এর লেনদেনটি হল দৈনন্দিন লেনদেন কারণ হিসাবকালে যে মজুরী হয়েছে তা প্রদান করা হল। (গ)-এর লেনদেনটিও এরূপ দৈনন্দিন লেনদেন। শুধুমাত্র (খ)-এর লেনদেনটির জন্য সমন্বয় লিখন প্রয়োজন। কারণ সুদ উদ্ভুত হওয়া মানে বকেয়া সুুদের সৃষ্টি হওয়া।

Note: হিসাবচক্রে ধারাবহিক পদ্ধতিতে হিসাব রাখা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট হিসাবকালের কিছু অর্জিত আয় ও সংঘটিত ব্যয় হিসাবভুক্ত হয় না। কারণ এগুলো এক হিসাবকালের চেয়ে বেশি সময়ের জন্য সংঘটিত হয়। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে সঠিক আয়-ব্যয় ও সঠিক নীট ক্ষতি বা লাভ বা মুনাফা নির্ণয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট হিসাবকালের সাথে অর্জিত আয় ও সংঘটিত ব্যয় সমন্বয় করতে হয়। আর এ জন্যই সমন্বয় দাখিরঅর প্রয়োজন হয়।

Note: হিসাব চক্রের ধারাবাহিক পদ্ধতিতে হিসাব রাখা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট হিসাবকালের কিছু অর্জিত আয় ও সংঘঠিত ব্যয় হিসাবভুক্ত করা হয় না। ফলে এ ধরনের অসমন্বিত হিসাব সমূহ (সংশ্লিষ্ট হিসাবকালে অর্জিত আয় ও সংঘঠিত ব্যয়) সমন্বয় করার জন্যই সমন্বয় দাখিলা প্রদান করা হয়। আর এদের সমন্বয় লিখন সর্বদাই কমপক্ষে আয় বিবরণীর একটি হিসাব এবং উদ্বর্তপত্রের একটি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। কারণ তাদের সমন্বয় লিখন দ্বারা আয়/ব্যয় হ্রাস বৃদ্ধি করে এবং সম্পদ অথবা দায় হ্রাস/বৃদ্ধি করে। আর আয় অথবা ব্যয় হ্রাস/বৃদ্ধি করতে আয় বিবরণীর একটি হিসাবে এবং দায় অথবা সম্পদ হ্রাস/বৃদ্ধি করলে উদ্বর্তপত্রের একটি হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়। অর্থাৎ আয় বিবরণীয় একটি হিসাব ও উদ্বর্তপত্রের একটি হিসাব অন্তর্ভূক্ত হয়।

Note: রেওয়ামিলে সম্ভার হার শূন্য (০) থাকায় সম্ভারের উদ্বৃত্তকে সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ফলে উক্ত হিসাবকালে যত টাকার সম্ভার ব্যবহৃত হয়েছে তার সমন্বদয় দাখিলা দিতে হবে। সম্ভার খরচের সমন্বয় করা হলে সম্ভার খরচ খরচ ৫৫০ টাকা (ব্যয়) বৃদ্ধি পাবে েএবং সম্ভারের উদ্বৃত্ত (প্রারম্ভিক সম্পত্তি) কমে যাবে। ফলে সমন্বয় জাবেদা হবে- সম্ভার খরচ ডেবিট ৫৫০ টাকা এবং সম্ভার ক্রেডিট ৫৫০ টাকা।

Note: আয় বা রাজস্ব অর্জিত হওয়া হলো দৈনন্দিন লেনদেন। এ ধরনের লেনদেনের জন্য সমন্বয় এন্ট্রি দেয়ার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র দৈনন্দিন দাখিলা প্রদান করলেই হয়। অতএব, প্রশ্নটিতে সঠিক উত্তরের জন্য প্রদত্ত Option গুলোর মধ্যে (ক), (গ) ও (ঘ) Option গুলোর প্রধান সমন্বয় এন্ট্রির উদাহরণ।

Note: ক, গ, ও ঘ এর লেনদেনগুলো হলো সাধারণ বা দৈনন্দিন লেনদেন। শুধুমাত্র খ,-এর লেনদেনটি হল সমন্বয় দাখিলার উদাহরণ। কারণ ট্রাক ক্রয় করার সময় যে ব্যয় করা হয়েছিল তা সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। তা্ পিরবর্তীতে প্রতিটি হিসাবকালে উক্ত ব্যয়কে ভাগ করে দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট হারে আয়ের বিপরীতে অবচয় খরচ নামে চার্জ করা হয়। অর্থা আয়ের বিপরীতে অবচয় ব্যয়কে সমন্বয় করা হয়। আর এজন্য যে দাখিলা দেওয়া হয় তা সমন্বয় দাখিলার অন্তর্ভুক্ত।