Question:‘হাটার সময় হাইহিল জুতা মাটিতে দেবে যায়, কিন্তু চ্যাপ্টা তলাওয়ালা জুতা দেবে যায় না’- এর কারণ ব্যাখ্যা কর। 

যেহেতু চাপ = বল/ক্ষেত্রফল। তাই প্রচন্ড চাপ সৃষ্টির জন্য অল্প ক্ষেত্রফলে অধিকতর বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়। চ্যাপ্টা তলাওয়ালা জুতার তলার ক্ষেত্রফল হাইহিলের তুলনায় অনেক বেশি, তাই এখানে সৃষ্ট চাপের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম বলে তা মাটিতে দেবে যায় না। পক্ষান্তরে, হাইহিলে উক্ত ব্যক্তির সম্পূর্ণ ওজন অতি সামান্য ক্ষেত্রফলে প্রযুক্ত হয় বলে প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হওয়ায় মাটিটে দেবে যায়।

Question:মানুষ বায়ুমন্ডলের প্রচন্ড চাপ অনুভব না করার কারণ ব্যাখ্যা কর। 

পৃথিবীপৃষ্ঠে এ বায়ুমন্ডলের চাপ প্রতি বর্গমিটারে প্রায় `10^5N`। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহের ক্ষেত্রফল `1.5xx10^5N` বল প্রয়োগ করে। তবে মানুষের শরীরের ভিতরে রক্তের চাপ বাইরের এই চাপ অপেক্ষা সামান্য বেশি বলে মানুষ সাধারণত বায়ুর এই চাপ অনুভব করে না।

Question:টারসেলির শূন্যস্থান বলতে কী বোঝ? 

পারদ ব্যারোমিটারে কাচনলে যে পারদস্তম্ভ দাড়িয়ে থাকে তার উপর নলের বদ্ধ প্রান্ত পর্যন্ত স্থান শূন্য থাকে। এই শূন্যস্থানকে টারসেলির শূন্যস্থান বলে। কিন্তু এটি প্রকৃতপক্ষে শূন্যস্থান নয়, এখানে সামান্য পারদ বাষ্প থাকে। পারদ ব্যারোমিটারে প্রাথমিক অবস্থায় পারদ স্তশ্বের উপরকার তলের উপর কোনোরূপ চাপ না থাকায় সামান্য পারদ বাষ্পীভূত হয়ে উক্ত স্থান দখল করে নেয়।

Question:ব্যারোমিটারের পারদস্তম্ভের উচ্চতা হঠাৎ খুব কমে গেলে আবহাওয়া সম্পর্কে কী পূর্বাভাস দেওয়া যায়- ব্যাখ্যা কর। 

যদি ব্যারোমিটারের পারদস্তম্ভের উচ্চতা হঠাৎ খুব কমে যায় তবে বুঝতে হবে চারদিকে বায়ুমন্ডলের চাপ সহসা কমে গেছে এবং ঐ স্থানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উচ্চচাপের ্সথান থেকে প্রবল বেগে বায়ু ঐ নিম্নচাপের অঞ্চলে ছুটে আসবে। সুতরাং ঝড়ের সম্ভাবনা আছে।

Question:কোনো বস্তু যখন স্বাভাবিক অবস্থা হতে বিকৃত হয় তখন কী ঘটে- ব্যাখ্যা কর। 

কোনো স্থিতিস্থাপক বস্তুর ওপর বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে বস্তুটি যখন স্বাভাবিক অবস্থা হতে বিকৃত হয় তখন বস্তুর অণুগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়। তার ফলে বস্তুর দৈর্ঘ্য, আয়তন বা আকৃতির প্রতিরোধ বলের উদ্ভব হয়। এই প্রতিরোধ বল বাহ্যিক বলকে বাধাদানের চেষ্টা করে।

Question:স্থিতিস্থাপক সীমা বলতে কী বোঝ? 

বাহ্যিক বল প্রয়োগ করে কোনো বস্তুর আকার বা আয়তন বা উভয়ের পরিবর্তনের চেষ্টা করলে বসতউটি এই প্রচেষ্টাকে বাধা দেয় এবং উভয়ের পরিবর্তনের চেষ্টা করলে বস্তুটি এই প্রচেষ্টাকে বাধা দেয় এবং বল অপসারিত হলে বস্তু তার পূর্বের আকার বা আয়তন ফিরে পায়। তবে বলের একটা সীমা আছে, যার বেশি বল প্রয়োগ করলে বস্তু তার পূর্বের আকার দিয়ে পায় না। এই সীমাকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে। স্থিতিস্থাপক সীমার বাইরে বাহ্যিক বল প্রয়োগে বস্তুর স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে বা বস্তু ভেঙ্গে যায়।

Question:হুকের সূত্র গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা কর। 

হুকের সূত্রটি হলো “স্থিতিস্থাপক সীমা মধ্যে পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক।”
গাণিতিকভাবে,
পীড়ন `prop` বিকৃতি
পীড়ন = ধ্রুবিক x বিকৃতি
বা, পীড়ন/বিকৃতি = ধ্রুবক।
এই ধ্রুবককে বস্তুর উপাদানের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক বলে এবং এর একক `Nm^(-2)` ।

Question:কোনো বস্তুর ওপর বাহ্যিকভাবে প্রযুক্ত বল এবং পীড়নের তুলনা কর। 

কোনো বস্তুর উপর বাহ্যিকভাবে প্রযুক্ত বল এবং পীড়নের মান সমান, কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য এই যে, পীড়ন উদ্ভূত হয় বস্তুর ভেতর থেকে বিকৃতির প্রতিরোধকারী বল হিসেবে। বস্তুর তলের যেকোনো স্থানে বল এবং পীড়নের দিক পরস্পর বিপরীতমুখী।

Question:কোনো বস্তুর উপদানের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক `2xx10^(11) Nm^(-2)`- বলতে কী বোঝ? 

আমরা জানি, স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর ভেতর হতে উদ্ভূত পীড়ন ও বিকৃতির অনুপাতকে স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক বলে।
সুতরাং কোনো বস্তুর উপাদানের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক `2xx10^(11) Nm^(-2)` বলতে বুঝায়, ঐ বস্তুতে একক মানের বিকৃতি ঘটালে ঘটানোর চেষ্টা করলে বস্তুর ভেতর হতে `2xx10^(11) Nm^(-2)` মানের পীড়ন বা চাপের উদ্ভব ঘটে।

Question:পদার্থের আণবিক গতিতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর। 

পদার্থের অণুগুলো গতিশীল অবস্থা আছে, এই ধারণা ধরে নেওয়াই পদার্থের আণবিক গতিতত্ত্বের মূল বিষয়। এই তত্ত্ব বেশ কয়েকটি স্বীকার্যের উপর প্রতিষি।ঠত, যেমন: যেকোনো পদার্থ অবস্থা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত। এই কণাগুলোকে পদার্থের অণু বলে। অণুগুলোর এত ক্ষুদ্র যে তাদেরকে বিন্দুবৎ বিবেচনা করা হয় পদার্থের কণাগুলো সর্বদা গতিশীল।